নিজস্ব প্রতিবেদক:
নাটোরের নলডাঙ্গার ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানীর মামলা দায়ের করা গৃহবধু মনিকা খাতুনকে খদ্দের সহ একটি আবাসিক হোটেল থেকে আটক করেছে পুলিশ। গতরাতে নাটোর শহরের বড়হরিশপুর এলাকার ভিআইপি আবাসিক হোটেল থেকে অসামাজিক কার্যকলাপ করাকালে তাদের আটক করা হয়। আটক গৃহবধু নলডাঙ্গা উপজেলার পূর্ব সোনা পতিল গ্রামের জনৈক রকি ইসলামের স্ত্রী।
নাটোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নসিম আহমেদ জানান, এলাকাবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে নাটোর সদর থানার এ,এস,আই আসমাউল হক সহ সঙ্গীয় ফোর্স শহরের বড়হরিশপুরে হোটেল ভি আইপি হোটেলে অভিযান চালায়। অভিযানকালে হোটেলের ৪০৫ নং কক্ষ থেকে অসামাজিক কাজে লিপ্ত থাকা অবস্থায় মনিকা খাতুনকে তার খদ্দের শহরের বনবেলঘড়িয়া এলাকার ফায়জুল ইসলামের ছেলে টুটুলকে সহ আটক করে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, নলডাঙ্গা পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ড ছাত্র লীগের সিনিয়ার সহ-সভাপতি নিশানের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ এনে গত ৫ জুন নলডাঙ্গা থানায় একটি মামলা দায়ের করে মনিকা খাতুন। সেই মামলায় নিশানকে গ্রেফতার করে কারাগারে প্রেরণ করে পুলিশ। পরদিন মামলাটিকে মিথ্যা মামলা বলে নিশানের মুক্তির দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করে শত শত এলাকাবাসী নারী-পুরুষ।
পরে গত ৮ জুন নাটোর শহরের একটি রেস্তোরায় ডাকা এক সংবাদ সম্মেলনে কথিত গৃহবধূ মনিকা অভিযোগ করেন, গত সোমবার (৫ জুন) রাতে ছাত্রলীগ নেতা নিশানের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত যৌন হয়রানীর মামলা প্রত্যাহারের জন্য নলডাঙ্গা পৌরসভার মেয়র মনিরুজ্জামান মনির ও মেয়রের ভাতিজা সাগর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে মামলা তুলে নিতে হুমকি দিচ্ছে। আপোষ করে মামলা না তুললে তারা তাদের অনুসারিদের দিয়ে আমাদের একঘরে করে রাখার হুমকি দিচ্ছে। অবশ্য মেয়র মনিজ্জামান তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তিনি জন প্রতিনিধি হিসেবে শুধু সমঝোতা করে নেওয়ার কথা বলেছেন, কোন হুমকী দেননি।
সংবাদ সম্মেলনের দুইদিন পরেই কথিত সেই গৃহবধু মনিকা খাতুন শনিবার রাতে অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত থাকা অবস্থায় খদ্দের সহ গ্রেফতার হলেন। এ সময় তিনি সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা স্বামী রকি ইসলামের পরিবর্তে রকির ছোট ভাই নয়নকে স্বামী