গত কয়েকদিনে প্রবল বর্ষণে হঠাৎ করে নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া বারনই নদীর পানি অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পাওয়ায় হালতি বিলের ২ টি ইউনিয়ন ও ২টি ইউনিয়নে একাংশ আকস্মিক বন্যা দেখা দিয়েছে।এতে উপজেলার হালতি বিলের রোপনকৃত পাটের জমিতে পানি উঠায় অপরিপক্ক সোনালি আঁশ পাট কাটতে বাধ্য হচ্ছেন কৃষকরা।ফলে অপরিক্ক পাট কাটায় ফলন কমে যাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন পাট চাষীরা।তবে কৃষি বিভাগ দাবী করেছে অপরিপক্ক পাট কাটায় ফলন কিছুটা কম হলেও বাজারে ভালো দাম থাকায় তেমন ক্ষতি হবে না কৃষকদের।
রোববার সরেজিমন হালতি বিলে গিয়ে দেখা যায়,গত কয়েকদিনে উপজেলার হালতি বিলের সোনাপাতিল,তেঘরিয়া,বাঁশিলা,পাটুল,খাজুরা,মাধনগর,ভট্রপাড়া,ব্রহ্মপুর এলাকায় বন্যার পানি নিমাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় দ্রুত গতিতে পাটের জমিতে ঢুকে পড়ছে।এতে শত শত পাটচাষীরা অতিরিক্ত মুজুরী খরচ করে শ্রমিক দিয়ে পাট কাটতে বাধ্য হচ্ছে।এখন হালতি বিলে পাট কাটার ধুম পড়ে গেছে।সোনাপাতিল গ্রামের পাটচাষী ওসমান আলী জানান,আমি এবার তিন বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছি। গত দুইদিনে আমারসহ এলাকার অধিকাংশ পাটের জমিতে বন্যার পানি উঠতে শুরু করেছে।এতে তড়িঘড়ি করে ৪০০ টাকার শ্রমিক এখন ৬০০ টাকা দিয়ে দ্রুত পাট কাটতে বাধ্য হচ্ছে।আরেক কৃষক লবী মন্ডল বলেন,আমার আড়াই বিঘা পাটের জমিতে বন্যার পানি ঢুকে পড়ে পড়েছে।তাই জমি থেকে পাট কাটতে শুরু করেছি।এ পাট পুরোপুরি পরিপক্ক হয়নি, আরো এক মাস পর পাটগুলো কাটলে ভালো হত।পাটুল এলাকার কৃষক রফিকুল ইসলাম জানান, ভালো মানের পাট হলে এক বিঘা জমিতে ১২-১৪ মণ হারে ফলন হয়।কিন্ত বন্যার পানি আসায় অপরিপক্ক পাট কাটায় ফলন হচ্ছে ৭-৮ মণ।এতে কিছুটা লোকসান হলেও বাজারে বর্তমান ৩ হাজার টাকা মণ যদি থাকে তাহলে লোকসান কম হবে।নলডাঙ্গা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফৌজিয়া ফেরদৌস জানান, এবার এ উপজেলায় মোট ১ হাজার ৮৮০ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে।বাজারে ভালো দাম থাকায় গত বছরের চেয়ে ৪০০ হেক্টর বেশি জমিতে পাট চাষ হয়েছে।তবে আগাম বন্যার পানি পাটের জমিতে ঢুকে পড়ায় কিছুটা অপরিপক্ক পাট কাটতে শুরু করেছে।এতে পাট উৎপাদনের ফলন কম হলেও বাজারে ভালো দাম থাকায় কৃষকদের তেমন ক্ষতি হবে না।