নাটোরের নলডাঙ্গায় রেলগেট পার হওয়ার সময় আন্তঃনগর ট্রেনের ধাক্কায় একটি অটোরিক্সা দুমড়ে মুচড়ে গিয়ে মারা গেল তিনটি ছাগল,রক্ষা পেল একটি পরিবার ও অটোচালক। পরে রাজশাহীগামী বরেন্দ্র আন্তঃনগর ট্রেন নলডাঙ্গা প্লাটফর্মের দক্ষিনে থেমে ট্রেনের সাথে দুমড়ে মুচড়ে আটকে যাওয়া অটোরিক্সা ট্রেনের ইঞ্জিন থেকে ছাড়িয়ে ট্রেনটি চলে যায়।বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে নলডাঙ্গা বাজারের রেলগেটে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নলডাঙ্গা রেলওয়ে ষ্টেশনের বুকিং মাষ্টার রিকতা রায় ও স্থানীয়রা জানান,বৃস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে একটি পরিবারের তিন সদস্য বড়বাড়ি হতে সাধনপুর যাওয়ার উদ্দ্যেশে একটি অটোরিকশা ভাড়া নিয়ে যাচ্ছিল।পথে নলডাঙ্গা বাজারের অরক্ষিত রেলগেট পার হওয়ার সময় রেলগেটে অটোরিকশা আটকে যায়। এ সময় রাজশাহীগামী বরেন্দ্র এক্সপ্রেস ট্রেন চলে আসলে অটোরিক্সা রেলগেটে ফেলে ৩ যাত্রী ও চালক সজিব নেমে যায়। তখন আন্তঃনগর বরেন্দ্র ট্রেনের ধাক্কা লেগে অটোরিক্সাটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। পরে আন্তঃনগর ট্রেন নলডাঙ্গা প্লাটফর্মের দক্ষিনে থেমে ট্রেনের সাথে দুমড়ে মুচড়ে আটকে যাওয়া অটোরিকশা ট্রেনের ইঞ্জিন থেকে ছাড়িয়ে ট্রেনটি রাজশাহীর উদ্দ্যেশ্যে চলে যায়।এসময় অটোরিকশায় থাকা পরিবারটির তিনটি ছাগল ও কয়েকটি মুরগি মারা যায়।পরে রেলওয়ের কর্তপক্ষের নির্দেশে রেলগেট দিয়ে যানবহন চলাচল বন্ধ করে দেয়।এতে যানবহন চলাচলে বিড়ম্বনায় পড়ে জনসাধারন।খবর পেয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ,নলডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।স্থানীয়রা জানান, রেলওয়ে ব্রীজের নিচের বাইপাস সড়কের নির্মাণ কাজ চলায় যানবহন ও জনসাধারনের স্বাভাবিক চলচলের জন্য নলডাঙ্গা বাজারের রেলগেটে বালুর বস্তা ফেলে উন্মক্ত করে বাইপাস সড়কের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের লোকজন।স্থানীয় দোকানদার কালাম হোসেন অভিযোগ করে বলেন, আজ থেকে ১৫-২০দিন যাবৎ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জনসাধারন ভ্যান রিকশা মোটরসাইকেল ও ছোট বড় যানবহন নিয়ে চলাচল করছে।শুধুমাত্র ব্রিজের নিচের সড়কের কাজ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ধীরগতিতে করায় আজকে এ দুর্ঘটনা।তবে উপজেলা এলজিইডি সহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান জানান,ব্রিজের নিচের বাইপাস সড়ক দ্রুত কাজ করে শেষ করার জন্য ঠিকাদারীদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।