নাটোর প্রতিনিধি:
নাটোরের নলডাঙ্গায় ভিজিডি তালিকায় অসহায় নারী জয়নব বিবির নাম অন্তভূক্ত হলেও বরাদ্দ হওয়া চাল এখনো দেয়নি খাজুরা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান। ভুক্তভোগি জয়নব বিবি অভিযোগ নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসের কার্যালয়ে এসে কান্নাকাটি শুরু করলে বিষয়টি মিডিয়াকর্মীর নজরে আসে। তারা ওই নারীর সব বিষয় শুনে উপজেলা মহিলা অধিদপ্তরে ও ইউএনও আব্দুল্লাহ আল মামুনকে বিষয়টি জানালে তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা গ্রহন করেন।তবে চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান দাবী করেন,ওই মহিলার নাম ভিজিডি তালিকায় ভুল করে অন্তভুক্ত হয়েছিল।পরে সেটা জয়নব বিবির নাম ভিজিডির তালিকায় রাখা হয়েছে এবং সে নিয়মিত ভিজিডির চাল পাবে বলে জানান।কিন্ত ভিজিডি চাল বিতরনের এক সপ্তাহ পার হলেও ভিজিডির ৩০ কেজি চাল এখনও পায়নি জয়নব বিবি।জয়নব বিবি খাজুরা ইউনিয়নের ১ নং ওর্য়াডের (সাধনগর-দুর্লভপুর) বাসিন্দা ও ভিক্ষা করে জীবিকা করেন।
শুক্রবার সরেজমিন ভুক্তভোগি নারী জয়নব বিবির বাড়িতে গিয়ে জানা যায়,গত ১৮ ফেব্রয়ারী বৃহস্পতিবার উপজেলার খাজুরা ইউনিয়নে ভিজিডির চাল বিতরণ করা হয়।সেই ভিজিডি কার্ড পেয়ে দুর্লভপুর গ্রামের রেলওয়ের ধারে খুপরি ঘরে বসবাসকারী স্বামী পরিত্যক্ত জয়নব বিবি চাল আনতে যায়।জয়নব বিবি ভিজিডি র্কাড দেখিয়ে খাজুরা ইউনিয়ন পরিষদে চাল চাইলে তার র্কাড কেড়ে নিয়ে তাড়িয়ে দেয় চেয়ারম্যান ও তার লোকজন।পরে গত ২২ ফেব্রয়ারী সোমবার জয়নব বিবি ভিজিডি তালিকা নিয়ে অভিযোগ জানাতে নলডাঙ্গা ইউএনও অফিসের গেটে এসে কান্নাকাটি শুরু করে।এসময় দুই জন মিডিয়া কর্মির নজরে পড়ে।তারা ওই নারীর সব বিষয় শুনে উপজেলা মহিলা অধিদপ্তরে ও ইউএনও আব্দুল্লাহ আল মামুনকে জানালে ইউএনও তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা গ্রহন করেন।পরে ওই দিনে চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান ছুটে যান জয়নব বিবির বাড়িতে।চেয়ারম্যান জয়নব বিবিকে জানান তার নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হবে না এবং এ নিয়ে আর কারো কাছে অভিযোগ যেন না করা হয়।ভুক্তভোগি জয়নব বিবি খুশি হলেও তার নামে যে চাল বরাদ্দ ছিল তা এখনও পায়নি বলে দুঃখ প্রকাশ করেন।খাজুরা ইউনিয় পরিষদ চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান জানান,জয়নব বিবির নাম ভুল করে অন্তভুক্ত হলেও পরে তার নাম তালিকা থেকে আর বাদ দেওয়া হবে না।উপজেলা মহিলা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা শাহিনুর খাতুন জানান,ভিজিডি তালিকা এবার অনলাইনে আবেদনের প্রেক্ষিতে যাছাইবাছাই করে তালিকা করা হয়েছে।এখানে ভুল করে কারো নাম অন্তভুক্ত হওয়ার সুয়োগ নাই।যে তালিকা চুড়ান্ত হয়েছে সে তালিকা থেকে চেয়ারম্যানরা বাদ দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন না।ভিজিডির তালিকা থেকে কারো নাম বাদ দেওয়ার ক্ষমতা আছে ইউএনও স্যারের। নলডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান,ভিজিডি এ তালিকা থেকে এ নারীর নাম বাদ দেওয়া হবে না।বিষয়টি তদন্ত করে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।