নিজস্ব প্রতিবেদক:
নাটোরের গুরুদাসপুরে কাঠ মিস্ত্রি ফজলু মিয়াকে অপহরণ ও মুক্তিপণ দাবীর অভিযোগে অপহরনকারী চক্রের ৫ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় অপহৃত ফজলু মিয়াকে উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া ফজলু মিয়া গুরুদাসপুর উপজেলার লক্ষীপুর গ্রামের মৃত ফরিদ মৃধার ছেলে। তিনি পেশায় একজন কাঠ মিস্ত্রী। আজ বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই তথ্য জানান নাটোরের পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যার পরে কাজ শেষে ফজলু মিয়া লক্ষীপুর গ্রামের হেজাতের মোড়ে জনৈক আহম্মাদ আলীর চায়ের দোকানে বসে ছিল। এ সময় মোটর সাইকেলে করে ১৪/১৫ ব্যাক্তি ওই চায়ের দোকানে গিয়ে ফজলু মিয়াকে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। পরে ফজলু মিয়ার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন থেকে তার ছেলের মোবাইল নম্বরে কল করে ২ লাখ ৬০ হাজার টাকা দাবী করে অপহরনকারীরা। মুক্তিপনের টাকা না দিলে ফজলু মিয়াকে মেরে ফেলার হুমকি দেয় তারা। একপর্যায়ে ফজলু মিয়ার স্ত্রী তাদের ১৭ হাজার টাকা দেয়। কিন্তু অপহরনকারীরা বাঁকী টাকা দাবী করেন। পরে অপহৃত ফজলু মিয়ার স্ত্রী হেলেনা বেগম বাদী হয়ে ৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৭/৮ জনকে অভিযুক্ত করে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের পর অপহৃতকে উদ্ধারে অভিযান চালায় পুলিশ। অভিযানে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ও সোর্সের দেওয়া গোপন সংবাদের মাধ্যমে নাটোরের সিংড়া উপজেলার কলম ইউনিয়নের প্রত্যান্ত একটি গ্রাম দেবোত্তর গ্রামের আব্দুর রশিদের বাড়ী থেকে আজ সকালে অপহৃত ফজলু মিয়াকে উদ্ধার করা হয়। পরে অপহরনের সাথে জড়িত থাকায় আব্দুর রশিদ সহ ৫ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হল, সিংড়া উপজেলার দেবত্তর গ্রামের কেতাব আলীর ছেলে আব্দুর রশিদ,একই গ্রামের মোবারক আলীর ছেলে সোহাগ হোসেন, সোনাপুর গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে আরিফুল ইসরাম ও গুরুদাসপুর উপজেলার চন্দ্রপুর মহল্লার হারুন আর রশিদের ছেলে হাসান আলী ও বৃন্দাবনপুরের আমানত আলীর ছেলে আনিছুর রহমান আনিছ। বিকেলে গ্রেফতারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক ডাকাতি ও ছিনতাই মামলা রয়েছে বলেও জানান পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম।