নাটোরের গুরুদাসপুরে নিজ শয়ন কক্ষ থেকে সেলিনা বেগম নামে এক গৃহবধুর গলা কাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার সন্ধ্যার দিকে উপজেলার উত্তর নারীবাড়ী এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত সেলিনা বেগম একই এলাকার নজরুল ইসলামের স্ত্রী। খবর পেয়ে পুলিশ ঘঁনাস্থল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।
সেলিনা বেগমের মেয়ে ববি আক্তার জানান, তিনি তার মাকে বিকেল ৪ টার দিকে বাসায় রেখে কাজের জন্য এলাকার এক দর্জি বাড়িতে যান। কাজ শেষ করে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে সে বাড়ীতে ফিরে আসেন। ফিরে আসার পর তিনি বাড়ীর ভিতরে তার মায়ের কোন সারাশব্দ না পেয়ে সরাসরি মায়ের ঘরে প্রবেশ করে। এ সময় তিনি দেখতে পান খাটের উপরে তার মায়ের গলা কাটা মরদেহটি পরে আছে। তার আত্মচিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে মরদেহটি দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। ববি আক্তার আরো বলেন , জমি নিয়ে বেশ কিছু দিন ধরেই তার দুই চাচা ইমাজ উদ্দিন ও রশিদ উদ্দিনের সাথে তাদের বিরোধ চলে আসছিল। তবে তারা এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত কিনা সে বিষয়ে কিছু বলতে পারেননি।
এ বিষয়ে গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। সেলিনা বেগমের ঘরের খাটের উপর থেকে গলা কাটা মরদেহটি উদ্ধার করে প্রাথমিক সুরৎহাল প্রতিবেদন তৈরী শেষে ময়না তদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, স্বামী ও মেয়ে বাড়ীতে না থাকার সুযোগে দুর্বৃত্তরা সেলিনা বেগমকে গলা কেটে হত্যা করেছে। হত্যাকান্ডের ঘটনাটি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করা হচ্ছে। এ ঘটনায় এখনো কোন মামলা দায়ের হয়নি। তবে হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটনে অভিযানে নেমেছে পুলিশ।