নাটোর প্রতিনিধি:
নাটোরের গুরুদাসপুরে প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত জালাল উদ্দিন রাজশাহী মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। আজ বৃহস্পতিবার দুপরে তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। নিহত জালাল উদ্দিন উপজেলার যোগিন্দ্র নগর গ্রামের আমজাদ হোসেন ওরফে আনন্দর ছেলে। বর্তমানে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা রয়েছে। গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোজাহারুল ইসলাম ও নিহতের স্বজনরা জানান, ২০১৩ সালের ১৩ মে উপজেলার যোগিন্দ্র নগর গ্রামের স্বামী পরিত্যাক্ত সফুরা খাতুন নামে এক নারীকে শারীরিক নির্যাতনের পর হত্যা করে নদীতে ফেলে দেয় সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় নিহত সফুরার ভাই বাদী হয়ে সাইফুল ইসলাম,শরিফুল ইসলাম রফিকুল ইসলাম সহ আরো কয়েকজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলায় জালাল উদ্দিনকে প্রধান স্বাক্ষী করা হয়। সেই সফুরা হত্যা মামলায় আজ আদালতে স্বাক্ষী জালাল উদ্দিনের হাজিরার নির্ধারিত দিন ছিল। সকালে জালাল উদ্দিন স্বাক্ষী দিতে আদালতে যাওয়ার জন্য বাড়ী থেকে বের হলে পথে যোগিন্দ্র নগর বাজারের কাছে প্রতিপক্ষরা ধারালো অস্ত্র নিয়ে তার ওপর হামলা করে। এ সময় প্রতিপক্ষরা জালাল উদ্দিনের একটি হাত কেটে নেয় এবং অন্য হাত সহ পা কেটে জখম করে। পরে স্থানীয়রা আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জালাল উদ্দিন মারা যায়। ঘটনার পর থেকে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।