নিজস্ব প্রতিবেদক:
নাটোরের গুরুদাসপুরের সোনাবাজু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে ফেলে রাখা হয়েছে রাস্তার কাজের নির্মাণ সামগ্রী। নির্মাণ কাজে ব্যবহৃত বালুমিশ্রিত পাথর, বালু ও পাথরের খোয়া রাখায় স্কুলের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সেইসাথে দীর্ঘদিন ধরে এসব সামগ্রী ফেলে রাখায় স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও এলাকাবাসী জানান, প্রায় এক মাস ধরে বিদ্যালয় মাঠে নির্মাণ সামগ্রী ফেলে রেখেছেন নাটোরের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স পিংকি কনস্ট্রাকশানের স্বত্বাধিকারী মো. আশফাক জেমস। এতে মাঠজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে পাথরের কুচি। ফলে শিক্ষার্থীদের খেলাধুলা ও শরীর চর্চা ব্যহত হচ্ছে। বিদ্যালয় মাঠের বালু ও পাথরের ধুলোয় পড়াশোনার পরিবেশ বিনষ্ট হচ্ছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে অসংখ্যবার নির্মাণসামগ্রী সরিয়ে নিতে বললেও ঠিকাদার তা আমলে নিচ্ছেন না। এতে চরম ভোগান্তিতে রয়েছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। তাই এই সমস্যা সমাধানে সংশ্লিষ্ট কর্তপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন তারা।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাইদুর রহমান বলেন, স্কুল মাঠে নির্মাণ সামগ্রী রাখতে নিষেধ করা হয়েছিল। বাঁধাও দিয়েছি। কিন্তু তারা মানেননি। বালু ও পাথরের কারণে শিক্ষার্থীসহ আমাদেরকেও বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
উপজেলা প্রকৌশলী মিলন মিয়া বলেন, সোনাবাজু থেকে নাজিরপুর অভিমুখি ৬ কিলোমিটার রাস্তা সংস্কারের জন্য বিদ্যালয়ের মাঠে নির্মাণ সামগ্রী রেখেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। তবে স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে সেগুলো সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে।
বিষয়টি জানতে চাইলে ঠিকাদার জেমস মুঠোফনে জানান, রাস্তা সংস্কার সরকারি কাজ। জায়গা না পাওয়ার কারণে সরকারি রাস্তা সংস্কার কাজের নির্মাণ সামগ্রী ওই বিদ্যালয় মাঠে রাখা হয়েছে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে কাজ স্থগিত রাখা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শ্রাবণী রায় বলেন, সমস্যা সমাধান করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কাজ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্দেশনা না মানলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।