নিজস্ব প্রতিবেদক:
জ্বালানী তেলের নুতন মুল্যে নির্ধারণ হয়েছে এমন সংবাদ জানতে পেরেই নাটোরের পেট্রল পাম্পগুলোতে উপচে পড়া ভীড় করেছে মোটর সাইকেল চালকরা। শুক্রবার রাতে পাম্পে মোটর সাইকেলের বহর দেখে জেলার প্রায় অধিকাংশ পাম্প মালিকরা রাত ১১টার পর থেকেই তেল বিক্রি বন্ধ করে দেয়। কিছু কিছু পাম্পে ক্রেতা প্রতি ২শ এবং কিছু কিছু পাম্পে জন প্রতি ৫শ টাকার তেল দিয়েছে বিক্রেতারা। এরপর রাত ১২ টার পর সেই সকল পাম্পও তেল বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছে। তেল না পেয়ে ঘুড়ে চলে যাচ্ছে অনেক ক্রেতা। পরে নতুন মুল্যে তালিকা টাঙ্গিয়ে দিয়ে নতুন করে তেল বিক্রি শুরু করে। এভাবে তেলের অস্বাভাবিক মুল্য বৃদ্ধির কারনে ক্রেতাদের মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করছে। অনেকে পড়েছেন সমস্যার মুখে। সরকারীভাবে তেলের দাম বৃদ্ধি করায় কৃষক, শিক্ষার্থী, বাস যাত্রী, চাকুরেসহ সর্বস্তরের মানুষ পড়েছেন বেশ সমস্যায়। সদর উপজেলার মদনহাটি গ্রামের কৃষক মিজানুর রহমান, লতিফ ও ঘোড়াগাছা গ্রামের শহিদুল ইসলামসহ কৃষকরা জানান, কয়েকদিন আগে সারের দাম বৃদ্ধি করেছে সরকার। এরপর শনিবার থেকে জ্বালানী তেলের দামও বৃদ্ধি পেয়েছে। সার কীটনাশক তেল সব কিছুর দাম বৃদ্ধি পেয়েছে অথচ বেচতে গেলে তারা উৎপাদিত ফসলের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন না। এ অবস্থায় তারা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। এভাবে চললে কিভাবে তারা ফসল করবেন। চাকুরে রফিকুল ইসলাম ও আসলাম উদ্দিন জানান, তারা কোম্পানীতে চাকুরী করেন। তাদের মোটর সাইকেল নিয়ে কোম্পানীর কাজে বিভিন্ন স্থানে যেতে হয়। কোম্পানী যে টিএ ও ডিএ দেয় জ্বালানী তেলের দাম বৃদ্ধিতে যদি তার চেয়ে বেশী খরচ হয়ে যায় তাহলে তারা কিভাবে পরিবার পরিজন নিয়ে বিপদে পড়বেন। রাজশাহীতে ভর্তি পরীক্ষা দিতে যাওয়া আবু রায়হান জানান, সকালে জানতে পারলেন জ্বালানী তেলের দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে। তারা বাসে রাজশাহী যাওয়ার জন্য এসে দেখেন গাড়ি কম, বাসভাড়া বৃদ্ধি হয়েছে। বাসযাত্রী আসমা খাতুন, রেহানা বেগম জানান, তারা বনপাড়া থেকে নাটোরে আসতে বাস ভাড়া দিতেন ২০ টাকা। শনিবার বাসে আসতে ৩০ টাকা ভাড়া চাইলে তারা প্রতিবাদ করেছেন জন্য বাসের সুপার ভাইজার তাদের বাস থেকে নেমে যেতে বাধ্য করেছেন। এ জন্য তারা বেশ সমস্যায় পড়েছেন তারা । এ ব্যাপারে হানিফ কেটিসি বাস কাউন্টার মাষ্টার হিমেল জানান, তেলের দাম বৃ্িদ্ধতে জনগণ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। বাস যাত্রীও কম। তাই বাস কম চলছে। তবে তারা বাসভাড়া এখনও বাড়াননি। তবে লোকাল বাসগুলোতে ভাড়া কিছু বৃদ্ধি করেছে বলে তিনি জেনেছেন। সাধারণ মানুষের বক্তব্য হচ্ছে চালের দাম বেড়েছে, সারের দাম বাড়ানো হয়েছে। এখন জ্বালানী তেলের দামও বাড়ানো হলো। আর এই জ্বালানী তেলের দাম বাড়ানোর ফলে শুধূ বাসভাড়া বাড়বে তাই নয়, নিত্য প্রয়োজনীয় সকল জিনিসের দামই বেড়ে যাবে। কিন্তু আয়তো সেই অনুপাতে বাড়ছে না। তাদের পিঠ দেওয়ালে ঠেকে গেছে। তারা সরকারের কাছে দ্রুত এ সমস্যার সমাধানের দাবী জানান।