নাটোরের বড়াইগ্রামের কৃষক মোবারক হত্যাকাণ্ডের ২৪ ঘন্টার মধ্যেই হত্যা রহস্য উন্মোচিত হয়েছে এবং হত্যাকারীদের গ্রেফতার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দী নেওয়া হয়েছে। শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে নাটোরের পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নাটোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আকরাম হোসেন,সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত, জেল গোয়েন্দ পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনারুল ইসলাম,বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দিলিপ কুমার দাস, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) সুমন আলী সহ পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তারা। বিফ্রিংয়ে পুলিশ সুপার বলেন, চতুর্ভুজ প্রেমের দ্বন্দ্বে খুন হয়েছেন মোবারক। ১৫ জুন বিকেলে বড়াইগ্রাম উপজেলার ইকোরী বিলে গরু চড়াতে যায় মোবারক হোসেন। এ সময় তার তিন বন্ধু রশিদ প্রাং, জিহাদ আলী, আসাদুল ইসলাম এবং প্রেমিকা আরিফা খাতুন তাদের পূর্ব পরিকল্পনামাফিক সকলেই বিলে অবস্থান নেয়। পরিকল্পনা অনুযায়ী আরিফা খাতুন মোবারককে শারীরিক সম্পর্কের কথা বলে পাঠ ক্ষেতে নিয়ে যায়।
সেখানে থাকা অন্যরা মোবারককে পাট গাছ দিয়ে হাত বেধে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। হত্যার পর পুলিশ ওই দিনই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এরপর ১৬ জুন নিহতের স্ত্রী রানী বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরর পর পর পুলিশের একটি তদন্ত টিম গঠন করে মামলার তদন্ত শুরু করে পুলিশ। তদন্তের একপর্যায়ে পুলিশ চাঞ্চল্যকর ও লোমহর্ষক এই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত সকল আসামিদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। গত বৃহস্পতিবার আসামীদের মধ্যে তিনজনকে আদালতে প্রেরণ করে জবানবন্দী গ্রহন করা হয়। অপর একজন জিহাদকে শুক্রবার আদালতে প্রেরণ করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা রশিদ প্রাং, জিহাদ আলী, আসাদুল ইসলাম এবং প্রেমিকা আরিফা খাতুন।