নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
নাটোরের বাগাতিপাড়ায় বাদাম বিক্রেতার হত্যার মূল পরিকল্পনাকারীসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৫। গতরাতে নওগাাঁর আত্রাই ও নাটোরের বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। আজ বরিবার দুপুরে নাটোর র্যাব ক্যাম্পে প্রেসবিফ্রিং করে এই তথ্য জানান র্যাব-৫ এর অধিনায়ক ল্যাফটেন্যান্ট কর্নেল রিয়াজ শাহরিয়ার। পরে গ্রেফতারকৃতদের বাগাতিপাড়া থানায় সোপর্দ করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হল, হত্যার মুল পরিকল্পনাকারী উপজেলার বাড়ইপাড়া এলাকার মৃত বরোজ উদ্দিনের ছেলে মাইনুল ইসলাম, আলম মোল্লার ছেলে মিলন মোল্লা , বিহারকোল এলাকার বাবুল শেখের ছেলে বাবুল শেখ ও আমিরুল ইসলামের ছেলে আলআমিন এবং কৃষ্ণপুর এলাকার মৃত আব্দুল আজিজের ছেলে শরিফুল ইসলাম।
র্যাব-৫ এর অধিনায়ক ল্যাফটেন্যান্ট কর্নেল রিয়াজ শাহরিয়ার জানান, তপন চন্দ্র চৌধুরী এলাকার বিভিন্ন স্কুল কলেজের সামনে নিয়মিত বাদাম ফেরি করে বিক্রি করতেন। বাদাম বিক্রি করাকালীন এক সময় বাগাতিপাড়া উপজেলার বাড়ইপাড়া গ্রামের মাইনুল ইসলামের সাথে তার পরিচয় হয়। এরপর তপন তার নিজের প্রয়োজনে মাইনুলের কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নেয়। পরে ধারের টাকা পরিশোধ করলে মাইনুল আরো বেশী টাকা দাবী করে। এনিয়ে তাদের মধ্যে বেশ কয়েকবার বাকবিতন্ডার ঘটনাও ঘটে কিন্তু তপন বেশী টাকা দিতে রাজী হয়না। প্রতিদিনের মতো তপন গত বৃহস্পতিবার বিকেলে বাদাম বিক্রির উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়। পরে রাতে সে বাড়ী ফিরে না আসায় স্বজনরা অনেক খোঁজাখুজি করেও তার সন্ধ্যান পায়নি। পরদিন শুক্রবার দুপুরে স্থানীয়রা বাগাতিপাড়া ডিগ্রী কলেজের পিছনে নীলচড়া মাঠে ফসলি জমির পাশে তপনের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই নিতিশ চন্দ্র চৌধুরী অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর র্যাব সদস্যরা তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় হত্যার মুল পরিকল্পনাকারী মাইনুলকে নওগাঁর আত্রাই থেকে গ্রেফতার করে। পরে তার দেয়া তথ্যে হত্যাকান্ডে অংশগ্রহণকারী আরো চারজনকে বাগাতিপাড়ার বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকারীরা জানায়, পাওনা টাকা সংক্রান্ত পূর্ব বিরোধের জের ধরে তারা তপনকে হত্যার পরিকল্পনা করে এবং কৌশলে তাকে মাঠে নিয়ে গিয়ে এলোপাথারী পিটিয়ে হত্যা করে চলে যায় তারা।