নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
নাটোরের বাগাতিপাড়া থেকে চাকুরীর প্রলোভনে তালাকপ্রাপ্ত এক নারীকে ঢাকায় নিয়ে ধর্ষণ মামলায় সাবেক ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলামকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড সহ ১৪ বছরের স্বশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। সেই সাথে ৩০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেওয়া হয়। জরিমানার অর্থ ভিকমিটকে দেওয়ার নির্দেশ দেন আদালতের বিচারক। আজ সোমবার দুপুরে এই রায় ঘোষণা করেন নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম।
নাটোর জজ কোর্টের স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান জানান, ২০০৩ সালের ১৩ অক্টোবর রাতে প্রতিবেশী চাচা ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম গার্মেন্টসে চাকরি দেয়ার নাম করে ঢাকায় নিয়ে যায় ভিকটিমকে। সেখানে তারা একটি হোটেলে স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে রাত্রি যাপন করে। রাত্রি যাপন কালে সাইফুল ইসলাম ভিকটিমকে জোর করে ধর্ষণ করে। পরদিন সকালে চাকরি খোঁজার নাম করে সেখান থেকে তাকে নিয়ে যায় একটি বাড়ীতে এরপর তাকে সেখানে রেখে পালিয়ে যায় সাইফুল ইসলাম। এই ঘটনায় ভিকটিম বাড়িতে ফিরে এসে ১৪ অক্টোবর নিজে বাদী হয়ে সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি ধারায় মামলা দায়ের করে। মামলা দায়েরের পর পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরন করেন। দীর্ঘ ২০ বছর মামলার স্বাক্ষ প্রমান গ্রহন শেষে আদালতের বিচারক একটি ধারায় সাইফুলকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ত্রিশ হাজার টাকা জরিমানা এবং অপর একটি ধারায় তাকে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন। সেই সাথে আদালত আরও আদেশ দেন যে, যাবজ্জীবন কারাদণ্ড শেষ হওয়ার পর ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড শুরু হবে তার।