নিজস্ব প্রতিবেদক:
নাটোর জেলা পরিষদের সংরক্ষিত নারী সদস্য ফরিদা পারভীন ও তাঁর স্বামী জেলা আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক ইউনুস আলীর বিরুদ্ধে প্রকল্পের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বাগাতিপাড়া উপজেলার মালিগাছা গ্রামের মিজানুর রহমান নামের এক ব্যক্তি সম্প্রতি জেলা প্রশাসক বরাবর এ সংক্রান্ত লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ফরিদা পারভীন তাঁর স্বামী ইউনুস আলী ও দেবর আরিফুল ইসলাম যোগসাজসে বিভিন্ন সময়ে জেলা পরিষদের বিভিন্ন প্রকল্পের নামে সরকারী অর্থ বরাদ্দ নিয়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন না করে আত্মসাত করেছেন। তাঁদের সবার বাড়ি বাগাতিপাড়া উপজেলার মালিগাছা গ্রামে। আত্মসাতকৃত প্রকল্পগুলির মধ্যে রয়েছে, ২০১৬-১৭ ও ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে তা থৈ নৃত্যকলা একাডেমীর নামে যথাক্রমে এক লক্ষ ও দুই লক্ষ টাকার বরাদ্দ, ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে লোকমানপুর মিলন সংঘের নামে দুই লক্ষ টাকা, মালিগাছা উত্তরপাড়া গোরস্তানের নামে দুই লক্ষ টাকা, মাড়িয়া সরকারপাড়া জামে মসজিদের নামে এক লক্ষ টাকা। এছাড়াও তিনটি স্থানে তাঁরা সরকারি জমি দখল করে রেখেছেন বলেও অভিযোগে উল্ল্যেখ করা হয়। জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগটি দুদক পরিচালক এবং ইউএনও বরাবর অনুলিপি প্রেরণ করেছেন। এসব বিষয়গুলি তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের আবেদন করেছেন অভিযোগকারী।
অভিযোগকারী মিজানুর রহমান বলেন, তা থৈ নৃত্যকলা একাডেমী ফরিদা পারভীন ও ইউনুস আলীর নিজস্ব এবং ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠান। এছাড়াও বরাদ্দ নেওয়া গোরস্থানও তাদের ব্যক্তিগত। এসব প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন নামে বরাদ্দ নিয়ে কোন প্রকল্প বাস্তবায়ন না করে অর্থ আত্মসাত করেছেন অভিযুক্তরা।
তবে এ বিষয়ে কথা বলার জন্য অভিযুক্ত জেলা পরিষদ সদস্য ফরিদা পারভীনকে না পাওয়া গেলেও তার স্বামী নাটোর জেলা আওয়ামীলীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ইউনূস আলী বলেছেন, অভিযোগকারী মিজানুর রহমানের সাথে রাস্তা নিয়ে বিরোধের জের ধরে এমন মিথ্যা অভিযোগ করেছে। একটি অভিযোগও সত্য নয়। সব কাজই করা হয়েছে। তাদের সুনাম ক্ষুন্ন করার জন্য এসব করা হচ্ছে।
নাটোর জেলা প্রশাসক মো. শাহরিয়াজের দপ্তর এমন অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেছে।