নাটোরের বড়াইগ্রামে কিশোরী গণধর্ষণ মামলায় স্বপন আলী ও শাহাদৎ হোসেন নামে দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে ডিবি পুলিশ। গতকাল সোমবার বড়াইগ্রাম উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা। প্রেস ব্রিফিংয়ে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারেক জুবায়ের, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হেডকোয়ার্টার) মীর আসাদুজ্জামান,ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনারুল ইসলাম সহ পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ।
প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার বলেন, গত ১৭ জুলাই সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে ১৩ বছরের এক কিশোরী মেয়ে বাবার উপর অভিমান করে একই উপজেলার মানিকপুর গ্রামে নানার বাড়ীতে যাওয়ার জন্য পালিয়ে বের হয় বাড়ী থেকে। ভ্যান রিক্সা যোগে রাত সাড়ে ৯ টার দিকে উপজেলার রয়না ফিলিং স্টেশনের পাশে পৌঁছালে ভ্যান চালক সহ অভিযুক্তরা তাকে জোর করে ধরে একটি কলা বাগানে নিয়ে গিয়ে মেয়েটিকে গণধর্ষণ করে ফেলে রেখে তারা পালিয়ে যায়।
পরে মেয়েটি নিজেই বাড়ীতে ফিরে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের ঘটনাটি জানায়। এরপর মেয়ের মা শিল্পী বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাত তিনজনকে অভিযুক্ত করে বড়াইগ্রাম থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর ডিবি পুলিশের টিম সহ থানা পুলিশ বিভিন্ন স্থানে ধর্ষক স্বপন আলী ও শাহাদৎ হোসেনকে গ্রেফতার করে। পরে গ্রেফতারকৃতদের নারী ও শিশু নির্যাতন আদালতে উপস্থাপন করলে তারা ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। অন্য অভিযুক্তকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। গ্রেফতারকৃত স্বপন আলী বড়াইগ্রাম উপজেলার দিঘলকান্দী গ্রামের দেল মাহমুদের ছেলে ও শাহাদৎ হোসেন একই এলাকার ফরহাদ হোসেনের ছেলে।