নাটোরের লালপুরে প্রতিবেশী দরিদ্রদের জন্য ত্রাণ সহায়তা চেয়ে ৩৩৩ নম্বরে কল করায় শহিদুল ইসলাম এক কৃষককে ইউপি চেয়ারম্যানের নির্যাতনের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আজ বুধবার কৃষক শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান আব্দুস সাত্তার, ইউপি সদস্য রেজাউল করিম এবং ইউপির তথ্য সেবা কেন্দ্রের দায়িত্বরত রুবেলকে অভিযুক্ত করে মামলাটি দায়ের করেন। লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সেলিম রেজা চেয়ারম্যান সহ তিনজনের নামে মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাটি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দিয়েছেন তার উদ্ধোর্তণ কর্মকর্তা। সেই হিসেবেই তারা কাজ করছেন।
উল্লেখ্য, টিভি চ্যানেলের মাধ্যমে জানতে পেরে লালপুর উপজেলার আঙ্গারীপাড়া গ্রামের কৃষক শহিদুল ইসলাম তার এলাকার দরিদ্র অসহায় মানুষের জন্য ৩৩৩ নম্বরে ফোন করে খাদ্য সজায়তা চায়। এ সময় শহিদুল ইসলাম বলেন তিনি নিজে সহ এলাকায় প্রায় দুই শতাধীক মানুষ কর্মহীন পড়েছে। তারা প্রায় তিন সপ্তাহ ধরেই এই অবস্থায় রয়েছেন কিন্তু কোন খাদ্য সহায়তা তারা পান নাই। এরপর ঘটনাটি প্রশাসনিকভাবে চেয়ারম্যানকে জানানো হয়। এতে চেয়ারম্যান ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। পরে ওই দিন (রবিবার) দুপুরে নামাজ শেষে শহিদুল ইসলাম বাড়ি এলে ইউএনও সাহেবের নাম করে চৌকিদার দিয়ে তাকে ইউনিয়ন পরিষদে ডেকে নেয়া হয়। কিন্তু সেখানে পৌঁছে দেখেন ইউএনও নেই রয়েছেন চেয়ারম্যান ,মেম্বার সহ রুবেল। কোনও কথা বলার সুযোগ না দিয়ে চৌকিদারের হাতে থাকা লাঠি নিয়ে চেয়ারম্যান নিজে শহিদুলকে মারপিট করে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। এসময় চেয়ারম্যান বলেন ‘৩৩৩ নম্বরে কেন ফোন দিয়েছিস, এজন্যই তোর এই শাস্তি। একথা আর কাউকে বললে তোর অবস্থা আরও খারাপ করে দেবো।’ পরে বিষয়টি এলাকাবাসী জানতে পেরে তাকে নিয়ে গিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা করান। এরপর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে ঘটনাটি জানালে রবিবার সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পান তিনি। এসময় তিনি আগামী তিন দিনের মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন গ্রামবাসীকে।