নাটোর প্রতিনিধি:
নাটোরের লালপুরে এক নারীকে দলবদ্ধভাবে ধর্ষণ মামলায় ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার রাত ব্যাপী উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে গ্রেফতারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
লালপুরের ওয়ালিয়া পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক কৃষ্ণ মোহন সরকার জানান, গত মঙ্গলবার বিকেলে বড়াইগ্রাম উপজেলার ধানাইদহ গ্রামের এক নারী তার আত্মীয়ের সাথে ছেলের বিয়ের জন্য মেয়ে দেখতে ওয়ালিয়ার ফুলবাড়ী গ্রামে আসেন। মেয়ে দেখা শেষে পরে রাতে ওয়ালিয়া গ্রামের আমজাম তলা এলাকার একটি নির্জনস্থানে নিয়ে গিয়ে দলবদ্ধভাবে পালাক্রমে ওই নারীকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এ সময় ওই নারীর আর্তচিৎকারে এলাকাবাসি এগিয়ে এসে চারজনকে হাতেনাতে ধরে পুলিশে খবর দেয়।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নারীসহ আটককৃতদের পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে আসে। পরে ঐ নারী মোট ১৪ জনকে অভিযুক্ত করে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। মামলার প্রেক্ষিতে অভিযান চালিয়ে আরও তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতদের আজ দুপুরে নাটোরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সুলতান মাহমুদের আদালতে নিয়ে গেলে আদালতের বিচারক তাদের কারাগারে প্রেরনের নির্দেশ দেন। গ্রেফতারকৃতরা হলো- লালপুর উপজেলার ফুলবাড়ী গ্রামের মৃত আনার আলীর ছেলে রাশেদুল ইসলাম (৩৬), ওয়ালিয়া সেন্টারপাড়া গ্রামের মৃত সফর সরদারের ছেলে আকমল সরদার (৪৫), ওয়ালিয়া আমিনপাড়া গ্রামের মৃত লালমিয়া সরকারের ছেলে রবিউল ইসলাম সরকার (৪৫), ওয়ালিয়া পশ্চিমপাড়া গ্রামের মৃৃত লাল মোহাম্মদ রশিদ সরকারের ছেলে জিল্লুর রহমান (৪২), ওয়ালিয়া বাজার পাড়া গ্রামের সাদ্দাম হোসেনের ছেলে জীবন ইসলাম (২৫), ওয়ালিয়া পশ্চিমপাড়া গ্রামের আব্দুল মন্ডলের ছেলে তরিকুল ইসলাম (৩৫) এবং বড়াইগ্রাম উপজেলার ধানাইদহ গ্রামের মৃত তৌফিক ফকিরের ছেলে রায়হান ফকির (৩৮)।