নাটোরের লালপুরে ৩৩৩ নম্বরে ফোন করে ত্রাণ চাওয়ায় নির্যাতিত কৃষক শহিদুল ইসলামের পাশে দাঁড়িয়েছে জেলা ছাত্রলীগ। আজ শুক্রবার বিকেলে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রাকিবুল হাসান জেমসসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপজেলার আঙ্গারীপাড়ায় গিয়ে কৃষক শহিদুল ইসলামের হাতে উপহার হিসেবে খাদ্য সামগ্রী তুলে দেন। এ সময় ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ তার পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
উল্লেখ্য, গত ১০ এপ্রিল সরকারী সহায়তার ৩৩৩ নম্বরে ফোন করে ত্রাণ চান কৃষক শহিদুল ইসলাম। বিষয়টি জেনে এলাকার সম্মান নষ্ট হয়েছে এমন অজুহাতে গত ১২ এপ্রিল কৃষক শহিদুল ইসলামকে ধরে নিয়ে আসে। পরে অর্জুনপুর-বারমহাটি চেয়ারম্যান তার ইউপি কার্যালয়ে চৌকিদারের হাতে থাকা লাঠি দিয়ে পিটান চেয়ারম্যান আব্দুস সাত্তার। এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার বিকেলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘটনাটি ভাইরাল হলে দেশজুড়ে আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে পরিণত হয়। এঘটনায় শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে চেয়ারম্যান,মেম্বার সহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পরে তাকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায়। অভিযানের এক পর্যায়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সংবাদ পেয়ে শুক্রবার সকালে পাবনার ঈশ্বরদী এলাকা থেকে চেয়ারম্যান আব্দুস সাত্তারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। দুপুরে নাটোরের পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা এক প্রেস বিফ্রিং করে এসব তথ্য জানান।
নাটোর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাকিবুল হাসান জেমস বলেন, চেয়ারম্যানের কাছে নির্যাতিত কৃষক শহিদুল ইসলামের প্রতি সহমর্মিতা জানাতেই তার বাড়িতে গিয়েছেন তারা। এ সময় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার পক্ষে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী উপহার হিসাবে তার হাতে তুলে দেয়া হয়। তিনি একজন ভাল মনের মানুষ। তিনি নিজের ও দরিদ্র এলাকাবাসীর পেটে খাবার তুলে দেওয়ার চিন্তা করে সরকারি সহায়তার নাম্বার ৩৩৩ নম্বরে ফোন করেছিলেন। পরে তিনি অর্জুনপুর-বারমহাটি চেয়ারম্যান আব্দুস সাত্তারের কাছে নির্যাতনের স্বীকার হন। দোষী যেই হোক তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেনন তিনি। উপহার সামগ্রী দেওয়ার সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, লালপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইউসুফ আলীসহ ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ।