নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
নাটোরের লালপুরে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী ধর্ষণ মামলায় শাহানুর রহমান নামে একজনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ৩০ হাজার টাকা জরিমানার দিয়েছে আদালত। আজ মঙ্গলবার দুপুরে নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এই রায় ঘোষণা করেন। তবে দন্ডপ্রাপ্ত শাহানুর পলাতক রয়েছে। তার অনুপস্থিতিতেই রায় ঘোষনা করেন বিচারক। দন্ডপ্রাপ্ত শাহানুর উপজেলার দূর্গাপুর এলাকার ফয়েজ উদ্দিনের ছেলে।
নাটোর জজ আদালতের স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান জানান, নির্যাতিত প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীর বাবা ও মা কেউ না থাকায় সে তার মামার বাড়ীতে থেকে পড়াশুনা করতো। স্কুলে যাওয়ার আসার পথে প্রতিবেশী শাহানুর রহমান প্রায় তাকে বিরক্ত করতো এবং বিয়ে করা সহ বিভিন্ন কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। কিন্তু ওই শিক্ষার্থী তার কথায় রাজী হয় না। এরপর ঘটনাটি শাহানুরের অভিভাবকদের জানালে শাহানুর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। এরই এক পর্যায়ে ২০০৪ সালের ১২ জুলাই শিক্ষার্থী বাড়ীতে একা পড়াশুনা করছে জানতে পেরে শাহানুর তার ঘরে ঢুকে ধর্ষন করে। এ সময় শিক্ষার্থীর চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে শাহানুর ঘরের দরজা খুলে পালিয়ে যায়। ঘটনাটি গ্রাম প্রধানগনকে জানালে তারা বিচারের আশ্বাস দেন। পরে বিচারে ওই শিক্ষার্থীকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেয় গ্রাম প্রধানরা। কিন্তু সেই বিচার মানতে রাজী হয়না শাহানুরের পরিবারের সদস্যরা। পরে শিক্ষার্থীর মামা রফিজ উদ্দিন বাদি হয়ে লালপুর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর থেকেই শাহানুর পলাতক রয়েছে। এদিকে দীর্ঘ প্রায় ১৮ বছর মামলার স্বাক্ষ্য প্রমান গ্রহণ শেষে আসামীর অনুপস্থিতিতে আদালত এই রায় ঘোষণা করেন। রায়ে উল্লেখ করা হয় জরিমানার অর্থ ভিকটিম পাবে। মামলার রায়ে বাদী পক্ষ সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।