নিজস্ব প্রতিবেদক:
নাটোর সদর উপজেলার দিঘাপতিয়া এলাকায় শ্বশুর বাড়ী থেকে চার বছর পূর্বে পরিবারের সাথে অভিমান করে নিখোঁজ হওয়া আসমানী খাতুনকে গাজিপুর থেকে জীবিত উদ্ধার করেছে পিবিআই। আজ বুধবার দুপুর ১২ টার দিকে শহরের কানাইখালিস্থ নিজ কার্যালয়ে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানান নাটোর পিবিআই পুলিশ সুপার শরীফ উদ্দিন।
নাটোর পিবিআই পুলিশ সুপার শরীফ উদ্দিন জানান, ২০১৯ সালের ৩ ফেব্রুয়ারী নাটোর সদর উপজেলার দিঘাপতিয়া ইউনিয়নের শিবদুর গ্রামে শ্বশুর বাড়ি থেকে অভিমান করে নিখোঁজ হয় আসমানী। পরে ঘটনাটি আসমানির শ্বশুড় বাড়ীর লোকজন তার বাবাকে মোবাইল ফোনে জানায় তার মেয়েকে খুজে পাওয়া যাচ্ছেনা। ঘটনাটি জানতে পেরে আসমানীর বাবা সহ পরিবারের সদস্যরা আসমানীর শ্বশুড়বাড়ীতে গেলে তারা জানায় আসমানীকে মেরে লাশ গুম করে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় ২০১৯ সালের ৩ ফেব্রুয়ারী নাটোর সদর থানায় আসমানীর বাবা বাদি হয়ে আসমানীর স্বামী দুলালসহ পরিবারের ৫ সদস্যের নাম উল্লেখ করে একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। মামলার প্রেক্ষিতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে আসমানীর শ্বশুরকে গ্রেফতার করে আদালতে হাজির করে। এ সময় আদালত মামলাটি অধিক তদন্ত করতে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে পিবিআই পুলিশকে নির্দেশ প্রদান করে। তারপর থেকে পিবিআই পুলিশ মামলাটির তদন্ত শুরু করে। তদন্ত চলাকালীন সময়ে গতকাল ৩১ মে আসমানীকে জীবিত অবস্থায় ঢাকার গাজিপুরের একটি ভাড়া বাসা থেকে আসমানীকে উদ্ধার করে। পিবিআই পুলিশ সুপার শরীফ উদ্দিন জিজ্ঞাসাবাদে আসমানী জানান ২০১৫ সালে বিয়ের পর থেকেই শ্বশুর বাড়ীর লোকজনের নির্যাতনেই কাউকে কিছু না বলে স্বেচ্ছায় তিনি পালিয়ে যান আসমানী। এসময় তিনি পরিচিত কারো সাথে আর কোন যোগাযোগ করেননি।