নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
নাটোরের সিংড়ায় রেশমি খাতুন (১৯) নামে এক কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যার আপন চাচা শাহাদৎ হোসেন বিরুদ্ধে। রবিবার দুপুরে সিংড়া উপজেলার ইটালী ইউনিয়নের দেওগাছা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় চাচা শাহাদৎ হোসেন (৩০) কে আটক করে পুলিশের সোপর্দ করেছে এলাকাবাসীরা।
কলেজছাত্রী নিহত রেশমি খাতুন স্থানীয় বামিহাল অর্নাস কলেজের এইচএসসির মানবিক বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী এবং দেওগাছা গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের মেয়ে ছিলেন।
পুলিশ ও এলাকাবাসীরা জানায়, উপজেলার পাকুরিয়া গ্রামের রেশমি খাতুনের দাদা মারা যায়। দাদা মারা যাওয়ায় বাড়ির সবাই সেই জানাযা যায়। এ সময় রেশমি খাতুন বাড়িতে একাই ছিল। এই সুযোগে আপন চাচা শাহাদৎ হোসেন ভাতিজী রেশমি খাতুনকে ধর্ষণ করে ঘরের মধ্যে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে জানাযা শেষে বাড়ীর সদস্যরা বাড়ীতে ফিরে এলে ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হয়। তখন চাচা শাহাদাৎ হোসেন দৌড়ে পালিয়ে যেতে লাগলে ঘটনার বিষয়ে এলাকাবাসীর তাকে সন্দেহ হয়। এরপর এলাকাবাসীরা চাচা শাহাদৎ হোসেনকে আটক করে পুলিশ খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহত রেশমি খাতুনেন মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। আটক শাহাদৎ হোসেন মসলেম উদ্দিনের ছেলে। এঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
এ বিষয়ে সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম জানান, রেশমি খাতুনকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে। পরবর্তীতে তদন্ত করে ঘটনার রহস্য বেরিয়ে আসবে।