নিজস্ব প্রতিবেদক:
নাটোরের সিংড়ায় বিলে মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে জমির শেখ ও তার নাতি স্কুল ছাত্র পাপ্পু হোসেনের মৃত্যু হয়েছে। নিহত পাপ্পু হোসেন চৌগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ ষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষার্থী ছিল। পাপ্পু চৌগ্রামে তার নানার বাড়িতে থেকে লেখা পড়া করতো। তার বাবার বাড়ি পাশের ছোট চৌগ্রাম এলাকায়। বুধবার বিকেলে বাড়ি থেকে এক কিলোমিটার দুরে বিলে মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে তারা নানা-নাতি মারা যায়। পরে রাত ১০ টার দিকে তাদের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত জমির শেখের ছেলে শামিম হোসেন জানান, তার পিতা জমির শেখ প্রতিদিনের মত বুধবার বিকেলে বিলে জাল দিয়ে মাছ ধরার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়। সাথে তার আদরের নাতি পাপ্পু হোসেনকে নিয়ে যায় সে। তারা বাড়ি থেকে প্রায় এক কিলো মিটার দুরে পশ্চিম চৌগ্রাম বিলে যায় মাছ ধরতে যায় তারা। কিন্তু সন্ধ্যার গড়িয়ে রাতের অন্ধকার নেমে এলেও তারা বাড়িতে ফিরে না আসায় পরিবারেে সদস্যরা খোঁজাখুজি শুরু করে। এক পর্যায়ে রাত ১০ টার দিকে চৌগ্রাম পশ্চিম বিল এলাকা থেকে নানা -নাতির মৃতদেহ পানির মধ্যে ভাসমান অবস্থায় পরে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে স্থানীয়রা। কবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহের প্রাথমিক সুরৎহাল প্রতিবেদন তৈরী করে।
এ বিষয়ে সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নুর এ আলম সিদ্দিকী প্রাথমিক ভাবে ধারনা করে বলেন, মৃতদেহ দেখে বুঝা যাচ্ছে কোন এক সময় বজ্রপাতে তাদের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদেহ পরিবারের সদস্যরা দাফনের জন্য নিয়ে গেছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য গোলাম হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সকালে নানা ও নাতির মরদেহ দাফন করা হবে। এই ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ না থাকায় মরদেহ পুলিশের কাছ থেকে মুচলেখা দিয়ে নেওয়া হয়েছে।