নাটোর প্রতিনিধি :৫৮ কোটি টাকা ব্যয়ে শহরের বড়হরিশপুর থেকে বনবেলঘড়িয়া বাইপাস পর্যন্ত প্রধান সড়ক প্রশস্তকরণ এবং ছায়াবাণী মোড়ে গোল চত্বর তৈরীর কাজ বাস্তবায়ন করছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। এই কার্যক্রম বাস্তবায়নে রাস্তার উভয় পাশের ভুমি অধিগ্রহনের আওতায় আসা ভুমির মালিকেরা তাদের ভুমির ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করার দাবী জানিয়েছেন।
আজ রোববার বেলা ১১টার দিকর স্থানীয় একটি রেঁস্তোরায় অনুষ্ঠিত সাংবাদ সম্মেলনে শহরের প্রধান সড়ক উন্নয়ন কাজকে স্বাগত জানিয়ে বক্তারা বলেন, শহরের ছায়াবানী মোড় থেকে ষ্টেশন পর্যন্ত রাস্তার উভয় পাশে শতাধিক ব্যক্তির প্রায় ৫৩ শতাংশ জমি অধিগ্রহন করা হবে। স্থাবর সম্পত্তি অধিগ্রহন এবং ভূমি হুকুম দখল আইন-২০১৭ এর ৯ ধারার ১ (ক) উপধারায় বলা হয়েছে, বাজার মূল্য নির্ধারণের সময় উক্ত স্থাবর সম্পত্তির (অধিগ্রহনকৃত সম্পত্তির) পারিপার্শ্বিক এলাকার সমশ্রেণী ও সমান সুবিধাযুক্ত স্থাবর সম্পত্তির ধারা-৪ এর অধীনে নোটিশ জারীর পূর্বে ১২ মাসের গড় মূল্য নির্ধারিত নিয়মে হিসাব করতে হবে। আইনের এই বিধান যথাযভাবে অনুসরণ করে জমি অধিগ্রহন কার্যক্রম সমাধা করার দাবী জানান বক্তারা। বিগত সময়ে সংশ্লিষ্ট এলাকায় ৫০ লক্ষ টাকা থেকে এক কোটি টাকা দরে প্রতি শতাংশ জমি কেনাবেচা হয়েছে উল্লেখ করে সংশ্লিষ্ট জমির রেজিস্ট্রি দলিলের ফটোকপি হস্তান্তর করা হয়। সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন মাহবুবুর রহমান, আবু সাঈদ খান, বিকাশ চন্দ্র পোদ্দার, সিরাজুল ইসলাম বকুল এবং রুহুল আমিন। অধিগ্রহনের ব্যাপারে সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুর রহিম বলেন, অধিগ্রহনের জন্যে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় কাজ করছে। সরকারী বিধি অনুসরণ করেই অধিগ্রহন কাজ সমাধা হবে। নাটোরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আশরাফুল ইসলাম বলেন, যথাযথভাবে আইন অনুসরণ করেই অধিগ্রহন কাজ চলমান আছে। অধিগ্রহনে কেউ যেন জমির মূল্য প্রাপ্তিতে ক্ষতিগ্রস্থ না হন-তা নিশ্চিত করা হবে। বর্তমানে গণপূর্ত বিভাগ সংশ্লিষ্ট জমির ভবন বা অবকাঠামো সমূহের মূল্য নির্ধারণ করছে। সমশ্রেণী ও সমান সুবিধাযুক্ত জমির গড় মূল্য সংক্রান্ত স্থানীয় রেজিস্ট্রি অফিসের প্রতিবেদন পেলে জমির ক্ষতিপূরণ মূল্য নির্ধারণ করা হবে।