নাটোর প্রতিনিধি: দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ডাকাতির সাথ জড়িত সন্দেহে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৫ সদস্যকে গ্রেফতার এবং ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি ট্রাক উদ্ধার করেছে নাটোর পুলিশ। গ্রেফতারকৃত ডাকাতরা হলো নাটোর সদর থানার আওরাইল গ্রামের আসাদ খাঁর ছেলে বিল্লাল হোসেন, বড়াইগ্রাম থানার আহম্মেদপুর পশ্চিমপাড়ার জান্টু প্রাং-এর ছেলে ফরহাদ হোসেন, একই থানার কায়েমকোলা গ্রামের জামাল মন্ডলের ছেলে ফজলে রাব্বি,কুমিল্লার দাউদকান্দির তালতলীর মৃত চাঁন মিয়া ব্যাপারীর ছেলে আব্দুল আওয়াল ও ঢাকার নবাবগঞ্জ থানার পাড়াগ্রাম এলাকার মৃত ইয়াকুব মিস্ত্রির ছেলে বাবুল মিয়া।
বুধবার নাটোরের পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সামনে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা ডাকাতদের গ্রেফতারে অভিযানের তথ্য দেন। প্রেস ব্রিফিংকালে পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা জানান, নোয়াখালী’র বেগমগঞ্জ উপজেলার একাব্বরপুর এলাকার গরু ব্যবসায়ী মোঃ সিরাজ গত ১৭ জুলাই দিনাজপুর জেলার আমবাড়ি গরু হাট থেকে ১৬টি গরু ক্রয় করেন। পরে গরুগুলি একটি ট্রাকে তুলে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন। পথিমধ্যে ১৮ জুলাই রাত আড়াইটার দিকে ডাকাতদল তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী নাটোরের বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কে গরুর মালিক ও রাখালকে মারপিট করে গরু বোঝাই ট্রাকটি লুট করে। এ ব্যাপারে নাটোরের বড়াইগ্রাম থানায় মামলা হলে জেলা পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে। ২৯ জুলাই অভিযুক্ত ফরহাদ,বিল্লাল হোসেন ও ফজলে রাব্বিকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্যমতে অপর দুই অভিযুক্ত আব্দুল আওয়াল ও বাবুল মিয়াকে মঙ্গলবার রাত ১-২০ মিনিটের দিকে নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানা এলাকায় চট্টগ্রাম রোডে অভিযান চালিয়ে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত ট্রাকসহ গ্রেফতার করা হয়। অবশিষ্ট পলাতক ডাকাতদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। পুলিশ গরুগুলি উদ্ধার করতে পারেনি। গ্রেফতারকৃতরা স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দীতে উল্লেখ করেছে, গরু বোঝাই ট্রাকটি লুট করার পর গন্তব্যস্থান নারায়ণগঞ্জ পর্যন্ত যেতে ছয় বার ট্রাকের নাম্বার প্লেট পরিবর্তন করেছে বলে প্রেস ব্রিফিং এ উল্লেখ করেন পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা।