নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
নাটোরের লালপুরের কদিমচিলান গ্রামে ইজিবাইক চালক মিলন হত্যাকান্ডে জড়িত ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় মিলনের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া ইজিবাইকটি উদ্ধার করা হয়েছে। গতরাত ব্যাপী উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতারকৃতদের নিজ নিজ বাড়ী থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ সময় গ্রেফতারকৃত সাগর আলীর বাড়ী থেকে ইজিবাইকটি উদ্ধার করা হয়। নিহত খোরশেদ আলম মিলন বড়াইগ্রাম উপজেলার মহিষভাঙ্গা গ্রামের ফকরুল ইসলামের ছেলে। মঙ্গলবার নাটোরের পুলিশ লাইনসে এক বিফ্রিং এ এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বড়াইগ্রাম সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরীফ আল রাজীব,বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মংকর্তা আবু সিদ্দিক,লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনোয়র হোসেনসহ পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা বলেন, প্রতিদিনের মত গত ১৪ এপ্রিল খোরশেদ আলম মিলন তার ইজিবাইকটি নিয়ে ভাড়া খাটতে বের হয়। প্রতিদিনই সে ভাড়া খেটে রাত ১২ টার দিকে বাড়ীতে ফিরে আসে। কিন্তু সেদিন রাতে সে আর বাড়ীতে ফিরে আসেনি। পরে বিভিন্ন স্থানে খোজাখুজি করেও তার কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। পরের দিন সন্ধ্যার পর লালপুর উপজেলার কদিমচিলান গ্রামের একটি আখ ক্ষেতের ভিতরে মুখে কাঁদা মাটি মাখা অবস্থায় মিলনের মরদেহ দেখতে পায় স্থানীয়রা। ঘটনাটি পুলিশকে জানালে পুলিশ গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে। এ ঘটনায় নিহত মিলনের বাবা ফকরুল ইসলাম বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনার তদন্তে জানা যায় মিলনের ইজিবাইকটি নতুন হওয়ায় তার ইজিবাইকটি ছিনতাই করতেই মিলনকে হত্যা করা হয়েছে। তথ্য প্রযুক্তির সহয়তায় নাটোরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে গতকাল সজিব নামে এক যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তাকে আদালতে প্রেরণ করলে সে বিচারকের কাছে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দী প্রদান করে। পরে সজিবের দেওয়া তথ্য মতে আরো তিনজনকে গ্রেফতার করা হয় এবং ইজিবাইকটি উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে লালপুরের ডাঙ্গাপাড়া নাজমুল হোসেনের ছেলে সজিব, একই এলাকার আরোজ আলীর ছেলে রবিউল ইসলাম,সদর থানার কাফুরিয়া গ্রামের আসাদুল মিস্ত্রির ছেলে মেহেদী হাসান এবং দস্তানাবাদ গ্রামের মৃত সৈয়দ আহমেদের ছেলে সাগর আলী।