নাটোরে কারাগারে ওসমান খাঁ নামে এক কয়েদির শরীরে করোনা ভাইরাসের সন্দেহে তাকে কারা হাসপাতালের আইসোলেশন বেডে ভর্তি করা হয়েছে। ওসমান খাঁ নাটোর সদর উপজেলার দিঘীরপাড় গ্রামের খায়ের বক্সের ছেলে। কারা হাসপাতালের আইসোলেশন বেডে ভর্তি থাকা ওই কয়েদিকে চিকিৎসা দেওয়ার মতো কোনো ব্যবস্থা নেই। তাই তাকে জামিনে মুক্ত করে ‘হোম কোয়ারেন্টিনে’ পাঠানোর সিদ্ধান্ত কর্তৃপক্ষের।
নাটোর কারাগারের সুপারিনটেডেন্ট আব্দুল বারেক জানান , নাটোর সদর থানার একটি মারামারি মামলার আসামি ওসমান খাঁ গত ৪/৫ দিন আগে জ্বর, সর্দি-কাশি, গলাব্যথা, মাথা ব্যথায় আক্রান্ত হন। এরপর তার সমস্যার কথা জানতে পেরে প্রথমে তাকে কারা চিকিৎসকের মাধ্যমে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এরপর তাকে কারা হাসপাতালের আইসোলেশন বেডে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। রবিবার ওই ব্যক্তি আরো বেশী অসুস্থ্য হয়ে পড়লে তাকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। তিনি বিষয়টি জেলা প্রশাসক, সিভিল সার্জন, পুলিশ সুপার, সরকারি কৌঁসুলি ও সংশ্লিষ্ট বিচারককে অবহিত করা হয়েছে। আপাতত ওই আসামিকে জামিনে মুক্ত করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত ও একই সঙ্গে তাকে পুলিশ হেফাজতে ‘হোম কোয়ারেন্টিনে’ রাখার সিদ্ধান্ত হয়।
তিনি আরো বলেন ওই কয়েদিকে নিয়ে বিপাকে পড়েছেন তারা। অসুস্থতা দেখে কারা হাসপাতালের চিকিৎসকদের ধারণা, তিনি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। ফলে তার সুরক্ষার পাশাপাশি কারাগারের অন্য কয়েদি ও কারা কর্মীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিয়ে ভাবতে হচ্ছে। দ্রুত করোনা ভাইরাস শনাক্তের পরীক্ষা করানো দরকার তার। তা না হলে সবাইকে ঝুঁকির মধ্যে থাকতে হবে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে ওই কয়েদিকে কারাগার থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। তবে পুরো বিষয়টি আদালতের ওপর নির্ভর করছে।
নাটোরের সিভিল সার্জন কাজী মিজানুর রহমান বলেন, কারা কর্তৃপক্ষের কাছে ঘটনা জানার পর তারা রোগীকে আপাতত হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তার করোনা ভাইরাস পরীক্ষার পর চিকিৎসা নিয়ে কাজ করা হবে। একই সঙ্গে কারাগার সংশ্লিষ্টদের কোয়ারেন্টিনের বিষয়েও ভাবা হবে।