নিজস্ব প্রতিবেদক:
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত বেসরকারী শিক্ষকদের চাকুরি শর্তাবলী রেগুলেশন (সংশোধিত) ২০১৯ এর ১৭ এর ক ধারায় অনুসারে অভিযুক্ত অত্র কলেজের সমাজ কর্ম বিষয়ের প্রভাষক নাজমুন নাহার। এ অভিযোগে আপনার বিরুদ্ধে বিভাগয়ি শাস্তিমুলক ব্যবস্থা কেন নেয়া হবে না নোটিশ প্রাপ্তির সাত কর্ম দিবসের মধ্যে তার লিখিত ভাবে কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও কলেজের অধ্যক্ষর নিকট জমা দেয়ার জন্য প্রথম কারণ দর্শানোর নোটিশ আজ মঙ্গবার দেয়া হয়েছে নাজমুন নাহারকে।
কলেজের প্যাডে নাসিক – ৮৪/২০২২ নং স্মারকে অধ্যক্ষ ও সভাপতি স্বাক্ষরিত নোটিশে বলা হয়েছে, কলেজের গভনিং বডির ১৩/০৮/২০২২ তারিখের ২২৪ নম্বর সভায় ৩ নম্বর এজেন্ডায় আপনার (প্রভাষক নাজমুন নাহার) চাকুরি বিধি লংঘন ও পেশাগত অসদাচরন বিষয়ে আলোচনা হয়। আপনার বিরুদ্ধে প্রাপ্ত দুইটি অভিযোগ পত্রের সাথে প্রেরিত পেন ড্রাইভে থাকা চিকিৎসক আমিনুল ইসলাম লিপনের সাথে ৪০ মিনিটের পর্ন ভিডিও ও ছবি অভিযোগের সত্যতা প্রমান করে। এছাড়া ঐ চিকিৎসকের সাথে আপনার (প্রভাষক নাজমুন নাহার) অনৈতিক যৌনাচার লিপ্ত হওয়ায় বিভিন্ন স্থানিয় ও জাতীয় গনমাধ্যেমে বিস্তারিত প্রকাশিত হয়েছে। এসব ঘটনায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সুনাম চরম ভাবে ক্ষুন্ন হয়েছে।চারিদিকে এই অপকর্মের ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। তাতে কলেজের শিক্ষক শিক্ষার্থী ও কর্মচারীগন বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছেন।
নোটিশ প্রাপ্তি বিষয়ে জানতে প্রভাষক নাজমুন নাহারের সাথে মোবাইল ফোনে বিভিন্ন সময়ে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নী।
কলেজের অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন খান বলেন, আজ সকাল ১০টার দিকে নোটিশ নিয়ে প্রভাষক নাজমুন নাহারের উত্তর বড়গাছার ৯৮২ নম্বর বাসায় কলেজ থেকে পিয়নকে পাঠানো হয়। এসময় কলেজের পিয়নের পরিচয় জেনে বাসার ভিতরে থেকেও তিনি কথা বলেলনি। পরে কলেজ থেকে ডাক বিভাগের মাধ্যেমে রেজিস্ট্রী করে নোটিশটি পাঠানো হয়েছে। এছাড়া প্রভাষক নাজমুন নাহারের ইমেইল আইডিতে পাঠানো হয়েছে। ইমো, হোয়াটস্ অ্যাপও পাঠানো হয়েছে।
কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক মেডিসিন বিশেষজ্ঞ আমিনুল ইসলাম লিপন ও নাটোর সিটি কলেজের সমাজকল্যাণ বিষয়ের প্রভাষক নাজমুন নাহার সাথীর ২৮.০৯ মিনিটের অবাধ যৌনাচারের ভিডিও মোবাইলে ভাইরাল হয়। অবাধ যৌনাচারে মিলিত হতে সহযোগীতা না করায় চলতি বছরের ৫মার্চ পরিকল্পিত ভাবে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসিয়ে কারাগারে পাঠায় নাটোর জেনারেল হাসপাতালের সহকারি সেবিকা রোম্বিয়াকে। তিনি কারাগার থেকে জামিনে মুক্ত হয়ে ৩০ জুলাই নাটোরের জেলা প্রশাসক ও কলেজ পরিচালনা কমিটির নিকট লিখিত অভিযোগে বিচার দাবী করেন ।