নিজস্ব প্রতিবেদক:
নাটোরে ডাকাত দলের সোর্স অভিযোগে বাসের চালক আলমগীর হোসেনকে আটক করেছে পুলিশ। আজ রবিবার সন্ধ্যার আগে নাটোর বাস টার্মিনাল এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। আলমগীর হোসেন ৬ বছর ধরে আরপি স্পেশাল যাত্রীবাহী বাস চালিয়ে আসছিলেন।আটককৃত আলমগীর গুরুদাসপুর উপজেলার আব্দুর রহমানের ছেলে। নাটোর ঢাকা নারায়নগঞ্জ রুটে যে বাস তিনি চালান প্রায় দিনই সেই বাসে ডাকাতি হয়।
রবিবার ওই বাস থেকে ছিনতাই হওয়ার পর কাউন্টার মাষ্টর ও বাসের সুপার ভাইজার এবং হেল্পার জানান, দীর্ঘদিন ধরে নারায়নগঞ্জের মদনপুর ও হারপিক মোড়ে সঙ্ঘবদ্ধ ডাকাত চক্র রবিন গ্রুপ, সেন্টু গ্রুপ ও আলমগীর গ্রুপ বিভিন্ন বাসযাত্রী ও বাসের সুপার ভাইজারের কাছ থেকে টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। নাটোরের বাস যাত্রী ও সুপার ভাইজারের কাছ থেকেও টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। কোন গোপন স্থানে টাকা রাখলেও তারা সেখান থেকে টাকা নিয়ে যায়। আজ রবিবার নারায়নগঞ্জ থেকে নাটোরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় আরপি স্পেশাল বাস। নারায়নগঞ্জের গাউছিয়া রূপসী এলাকায় প্রতিদিনের মতো বাসে উঠে ডাকাত রবিন। সে বাসের সুপারভাইজার ওবায়দুরকে মারধর করে টাকা ছিনিয়ে নেয়। সুপারভাইজার ঘটনাটি নাটোর কাউন্টারের ম্যানেজারকে জানিয়ে দেয়। খবর পেয়ে ম্যানেজার ঘটনাটি মদন এলাকায় বিভিন্ন বাস কাউন্টারে জানায়। এক পর্যায়ে ডাকাত সর্দার রবিন নাটোর কাউন্টারে ম্যানেজারকে ফোন করে এই ডাকাতির রহস্য উন্মোচন করে দেয়। ডাকাত রবিন বাস চালক আলমগীরের সংশ্লিষ্টতার তথ্য জানিয়ে দেয়। নাটোর কাউন্টারে বাসটি আসার পর আলমগীরকে চ্যালেঞ্জ করে তার মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়া হয়। পরে ফোন কল রেকর্ডে ডাকাতদের সাথে তার যোগাযোগের কল রেকর্ডটি ফাঁস হয়। পরে বাস কাউন্টারের দায়িত্বরত ম্যানেজার পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ কাউন্টার থেকে আলমগীরকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ জানান, একজন ডাকাত ধরা পড়ার খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে যান। সেখানে গিয়ে দেখেন যাকে আটক করা হয়েছে সে আরপি স্পেশাল যাত্রীবাহী বাসের চালক। তিনি জানান এ ব্যাপারে মামলা করতে হলে নারায়নগঞ্জ চাষারার যেখানে ঘটনা ঘটেছে সেখানকার থানায় মামলা দায়ের করতে হবে। তাকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।