নাটোরে এলাকায় আধিপত্ত বিস্তার ও চাঁদাবাজীর টাকা ভাগাভাগীর বিরোধের জেরে নিজেদের মধ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাকুপি করেছে রকি, বাপ্পি ও উল্লাস নামে তিন যুবলীগ কর্মী। আহতদের মধ্যে রকি ও বাপ্পীকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং উল্লাসকে নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আজ সোমবার শহরের কানাইখালী মহল্লার সাহারা প্লাজার সামনে এই সংঘর্ষের এই ঘটনা ঘটে।
নাটোর সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত জানান, স্থানীয় যুবলীগ কর্মী রকি,বাপ্পী ও উল্লাসের নিজেদের মধ্যে কোন একটি বিষয় বিরোধ সৃষ্টি হয়। এরই জেরে আজ ওই তিন জনের মধ্যে প্রথমে কথা কাটাকাটি হয়। এর পর তাদের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। হাতাহাতির এক পর্যায়ে একে অপরের ওপর ধারালো অন্ত্র নিয়ে হামলা করে। এতে একে অপরকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। ঘটনাটি স্থানীয়রা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে নাটোর সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অবস্থার অবনতি হলে রকি ও বাপ্পীকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঘটনাস্থলের অনেকেই বলেন, এরা তিনজনই এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ ও মাদক ব্যবসায়ী। এলাকায় যত অপরাধ হয় তার সাথে এই বাহিনীই জড়িত। আজকেও তারা হয়তো চাঁদাবাজীর টাকা ভাগাভাগি করা নিয়ে এই সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।
এ বিষয়ে জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমীন বিপ্লব বলেন, এরা যুবলীগের দায়িত্বশীল পদের কেউ না। যুবলীগ কর্মি বলা যেতে পারে এদের। তবে এদের এমন কর্মকান্ড যুবলীগ মেনে নিবেনা। তিনিও এই ঘটনার জন্য নিন্দা জানান।