নাটোরে তীব্র শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। গত শুক্রবার সামান্য সময় রোদের দেখা মিললেও তারপর থেকে আর রোদের দেখা মেলেনি। এতে যেমন দুর্দশা বেড়েছে খেটে খাওয়া মানুষের তেমনি বেড়েছে হাসপাতালে ঠান্ডজনিত রোগীর সংখ্যা। উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় আগে ভাগে শীত পড়লেও নাটোরে এর প্রভাব পড়েছে দেরিতে। নাটোরে গতকাল শনিবার তাপমাত্রা ছিল ১০দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস । রবিবার এ তাপমাত্রা বেড়ে ১৩ ডিগ্রি। হঠাৎই কনকনে হিমেল হাওয়ায় শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। শীত নিবারণ করতে গ্রাম এলাকার মানুষ খড়কুঠো জ্বালিযে আগুন পোহাাচ্ছেন। অর্থশালীরা সুপার মার্কেট গুলোতে ভীড় করলেও নিম্ন আয়ের মানুষ ভীড় জমাচ্ছে ফুটপাতের কম দামী পুরোনো কাপড়ের দোকানে। এসব দোকানের বিক্রেতারা জানান, শীতের তীব্রতা বাড়ার সাথে সাথে তাদের দোকানের বিক্রি বেড়েছে। সহজলভ্য হওয়ায় নিম্ন আয়ের মানুষ তাদের দোকানে ভীড় জমাচ্ছেন। এদিকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে শীত বস্ত্র বিতরণ শুরু হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় কম। বিভিন্ন সামাজিক সেবামুলক প্রতিষ্ঠানের পকাষ থেকেও শীতবস্ত্র বিতরণ করলে এ সমস্যার সমাধান হবে বলে অনেকে মনে করছেন। শীতে হাসপাতালের বহির্বিভাগে রোগীর ভীড় কমে গেলেও ওয়ার্ডগুলোতে বেড়েছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াসহ ঠান্ডাজনিত রোগীর চাপ। এদের মধ্যে শিশুর সংখ্যাই বেশি। গত তিন দিন থেকে শ্বাসকষ্ট নিয়ে ৪০জন শিশুকে ভর্তি করেছে তাদের অভিভাবকরা। গতকাল শনিবার থেকে রবিবার পর্যন্ত ৪৫ জন ডায়রিয়া রোগী ভর্তি হয়েছে নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে।
নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ডাঃ আকতারুজ্জামান জানান, শীত পড়ার পর থেকে বৃদ্ধ এবং শিশু রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। হাসপাতালে পর্যাপ্ত ঔষধ এবং চিকিৎসাদানের প্রস্তুতি রয়েছে। বিশেষ করে বৃদ্ধ এবং শিশুদের খুব প্রয়োজন না হলে বাইরে বের হতে নিষেধ করেছেন তিনি ।