নাটোরে দুদক কর্মকর্তা ও সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে দুই প্রতারককে আটক করেছে পুলিশ। গতরাতে গুরুদাসপুর উপজেলার মশিন্দা থেকে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতরা হলেন গুরুদাসপুরের তালবাড়িয়া পূর্বপাড়ার গ্রামের আবু সাঈদ ও একই উপজেলার হাঁসমারি গ্রামের হাফিজুল ইসলাম। আটককৃতদের থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে তবে তাদের বিরুদ্ধে কি ধরনের ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে তা এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
উপজেলার নয়াবাজার বিশ্বরোড মোড় এলাকার পল্লী চিকিৎসক আল আমিন বলেন, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ওই তিন যুবক মোটরসাইকেল নিয়ে তার দোকানের সামনে উপস্থিত হন। এ সময় তাদের সকলের হাতেই ওয়াকিটকি ছিলো। কিছু সময় পর আরো দুই যুবক আবু সাঈদ ও হাফিজুল ইসলাম হাতে ওয়াকিটকি নিয়ে চলে আসে তার দোকানে। এসেই তারা তাদের পরিচয় দেন যে তারা দুদক কর্মকর্তা। তারা এলাকায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করছেন। এসময় তারা তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কাগজপত্র দেখতে চান। কাগজপত্র দেখে তারা জানান , প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। এখন হয় জরিমানা অথবা কারাদন্ড মানতে হবে বলে ভয় ভীতি প্রদর্শন করেন। পরে মাত্র এক হাজার টাকা নিয়ে ঘটনাটি কাউকেনা জানানোর জন্য শাসিয়ে যায় তারা। এরপর বাজারের অন্য ব্যবসায়ীদের সাথে আলোচনা শেষে তিনি থানায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। পরে পল্লী চিকিৎসক থানায় গিয়ে তাদের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ করেন।
এ ব্যাপারে গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোজাহারুল ইসলাম জানান, এই প্রতারক চক্রটির বিরুদ্ধে অনেক ব্যবসায়ীর মৌখিক অভিযোগ ছিলো। এছাড়াও তারা কখন কোন এলাকায় গিয়ে সাংবাদিক বা দুদক অথবা দুসস পরিচয়ে প্রতরানা করে তা পুলিশ পরে জানতে পারে। এ নিয়ে তাদের আটকের জন্য পুলিশ কয়েকদিন ধরেই জাল পেতে ছিলো। এরপর স্থানীয় এক পল্লী চিকিৎসকের লিখিত অভিযোগ পেয়ে পুলিশ হাফিজুল ইসলামের বাড়ীতে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে। পরে তার দেওয়া তথ্যমতে আবু সাঈদকেও আটক করা হয়েছে। এসময় তাদের কাছ থেকে ওয়াকিটকি উদ্ধার করা হয়েছে। তবে আটককৃতদের বিরুদ্ধে এখনো কোন সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়নি। পুলিশ সুপারের নির্দেশে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।