নিজস্ব প্রতিবেদক:
নাটোরে পুলিশ পেটানো ও পুলিশের কাজে বাঁধা দেওয়ার মামলায় বড়াইগ্রাম উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সামসুল আলম রনিকে কারাগারে প্রেরন করেছে আদালত। আজ রবিবার দুপুরে নাটোরের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক শরীফ উদ্দিনের আদালতে হাজির হয়ে সামসুল আলম রনি জামিন আবেদন জানান। আদালতের বিচারক মামলার শুনানী শেষে রনির জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে রনিকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। পরে আদালত থেকে তাকে জেলা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
আদালত সুত্রে জানা যায়,চলতি বছরের ১৭ ই জানুয়ারী বিএনপি নেতা-কর্মীরা বড়াইগ্রামের কয়েন বাজার এলাকায় বিএনপির শতাধিক নেতা কর্মী দলীয় কর্মসুচীর অংশ হিসেবে মিছিল শেষে মহাসড়ক অবরোধ করে সভা করছিলেন। এসময় মহাড়কের দু’পাড়ে বিপুল সংখ্যক যানবাহন আটকা পড়ে। এই সংবাদ পেয়ে বড়াইগ্রাম থানার তৎকালীন এসআই সত্যব্রত সরকার সঙ্গীয় ফোর্স সহ ঘটনাস্থলে হাজির হন এবং যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করতে নিষেধ সহ সভা না করার অনুরোধ করেন। এতে রনিসহ কয়েকজন তাদের নিষেধ অমান্য করে সভা চালাতে গেলে পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় দলীয় নেতা কর্মীরা এসআই সত্যব্রতর ওপর চড়াও হয়ে কিল-ঘুষি মারতে শুরু করে। পরে সেখানে উপস্থিত অন্য পুলিশ সদস্যরা তাদের বাধা দিলে বিএনপির নেতা -কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এ ঘটনায় এসআই সত্যব্রত সরকার বাদী হয়ে সামসুল আলম রনিসহ বিএনপির ৩৭ নেতা -কর্মীর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো শতাধিক জনকে আসামী করে সরকারী কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে বড়াইগ্রাম থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
রনির আইনজীবি আব্দুল কাদের মিয়া জানান, এই মামলায় সামসুল আলম রনি সহ ৫ জন উচ্চ আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করলে আদালতের বিচারক ৬ সপ্তাহের মধ্যে নাটোরের জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন। সেই নির্দেশের প্রেক্ষিতে গত ২২ মার্চ রনি বাদে অন্য ৪ জন নাটোরের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে বিচারক তাদের জামিন মঞ্জুর করেন। আজ রবিবার সামসুল আলম রনি একই আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে বিচারক তার জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরনের নির্দেশ দেন।