নিজস্ব প্রতিবেদক:
নাটোরের দিঘাপতিয়া ও হাফরাস্তা এলাকায় সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা সহ তিনজনকে কুপিয়ে জখম করেছে প্রতিপক্ষরা। আজ শুক্রবার রাত ৯ টার দিকে এই ঘটনাগুলো ঘটে। আহতদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আহতরা হলেন, নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক তোহিদুর রহমান লিটন,দিঘাপতিয়া এলাকার মোজাফ্ফর রহমানের ছেলে বাবু ও দিঘাপতিয়া ইউনিয়নের তেগাছি গ্রামের এরাজ আহমেদের ছেলে শরিফুল ইসলাম।
নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাসিম উদ্দিন ও এলাকাবাসী জানান, সদর উপজেলার দিঘাপতিয়া এলাকার ফূলতলা মহল্লার মসজিদের পায়ে হাটা রাস্তা নিয়ে স্থানীয় মোজাফ্ফর রহমানের ছেলে বাবু ও রেজাউল ইসলামের ছেলের রনি আহমেদের মধ্যে বাকবিতন্ডা শুরু হয়। পওে তাদেও বাকবিতন্ডা হাতাহাতিতে রুপ নেয়। এর একপর্যায়ে রনির কাছে থাকা ধারালো চাকু দিয়ে বাবুকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে পালিয়ে যায় রনি। ঘটনাটি স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে আহত অবস্থায় বাবুকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। এদিকে একই সময়ে তেগাছি এলাকায় রাজ মিস্ত্রির পাওনা টাকা লেনদেনকে কেন্দ্র করে এরাজ আহমেদের ছেলে শরিফুলকে চাইনিজ কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে জখম করেছে একই ইউনিয়নের ছোট হরিশপুর মহল্লার ফরোজ আলীর ছেলে ফরহাদ হোসেন। আহত অবস্থায় শরিফুল ইসলামকেও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হা খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। অপরদিকে নলডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুর রহমান লিটন শহরের হাফরাস্তা এলাকায় একটি বেকারী দোকানের সমনে বসে ছিল। এ সময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায় দূর্বৃত্তরা। পরে স্থানীয়রা লিটনকে উদ্ধার করে প্রথমে নাটোর সদর হাসপাতালে ও পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। প্রতিটি ঘটনার বিষয়ে পুলিশ কাজ শুরু করেছে।