নাটোর প্রতিনিধি: নাটোরে বাল্য বিবাহের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে দশম শ্রেণীর এক স্কুল শিক্ষার্থী।
আজ বুধবার দুপুরে নাটোর সদর উপজেলার দিঘাপতিয়া ইউনিয়নের করোটা গ্রামে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে বাল্য বিবাহ বন্ধ করেন সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোছাঃ রনী খাতুন। ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোছাঃ রনী খাতুন বলেন, নাটোর সদর উপজেলার দিঘাপতিয়া ইউনিয়নের করোটা গ্রামের কৃষক হোসেন প্রামানিকের মেয়ে স্থানীয় হাইস্কুলের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ইতি খাতুন (১৬) এর সাথে আজ বুধবার রাতে নাটোরের সিংড়া উপজেলাধীর নলবাতা গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে সাইদুল ইসলামের বিয়ের আয়োজন চলছিল। এমন বিয়ের সংবাদ পেয়ে কণের বাড়িতে হাজির হন নাটোর সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোছাঃ রনী খাতুন। কণের মা’য়ের মাধ্যমে মোবাইল ফোনে ছেলে পক্ষকে এখনই বিয়ে না দেয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয়া হয়। কণের চাচা মোঃ হাতেম আলী প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন, ১৮ বছর পূর্ণ হওয়ার আগে কণে ইতি খাতুনের বিয়ে দেয়া হবে না। ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক আরো বলেন, বাল্য বিবাহ নিরোধ আইন-২০১৮ অনুযায়ী এই বাল্য বিবাহ বন্ধ করা হয়েছে। এমন সংবাদ যেখানে পাওয়া যাবে তারা সেখানেই অভিযান করবেন। এই বিষয়টি শুধু প্রশাসনের অভিযানেই সম্ভব নয়। সামাজিকভাবে বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। বাল্য বিবাহের কুফলগুলো প্রতিটি মা বাবাকে জানাতে হবে। তবেই বাল্য বিবাহ বন্ধ করা সম্ভব হবে।