নিজস্ব প্রতিবেদক:
নাটোরে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে ও পাশে কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়াও জন সমাবেশে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেছে ছাত্রলীগ নেতা কর্মিরা। পরে বিস্ফোরিত ককটেলের আলামত সহ অবিস্ফোরিত দুইটি ককটেল উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার সকালে শহরের আলাইপুরস্থ জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে ও পাশে এই ঘটনা ঘটে। তবে এতে কেউ কোন হতাহত হয়নি। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
জেলা বিএনপির সদস্য সচিব রহিম নেওয়াজ বলেন, কেন্দ্রীয় কর্মসুচির অংশ হিসেবে জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে জন সমাবেশের প্রস্তুতি চলছিল। এ সময় জন সমাবেশ ভুন্ডল করতে আওয়ামী লীগ নেতা কর্মিরা তাদের সমাবেশ স্থল সহ আশেপাশে ককটেল বিস্ফারণ করে আতংক সৃষ্টি করে। এছাড়াও বিএনপির নেতা কর্মিদের সমাবেশ আসতে প্রতিটি মোড়ে মোড়ে বাঁধা দেওয়া সহ মারধর করা হচ্ছে। পরে বিএনপি নেতা কর্মিরা দলীয় কার্যালয়ের সামনে জন সমাবেশ শুরু করলে ছাত্রলীগের নেতা কর্মিরা সমাবেশ স্থলে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পরে তারা দলীয় কার্যালয়ের ভিতরে চলে যায়। সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি চেয়ার পার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য হেলালুজ্জামান লালু, জেলা বিএনপির আহব্বায়ক শহিদুল ইসলাম বাচ্চু,সদস্য সচিব রহিম নেওয়াজ,বিএনপি নেতা কাজী গোলাম মোর্শেদ সহ নেতা কর্মিরা।
জেলা বিএনপির আহব্বায়ক শহিদুল ইসলাম বাচ্চু বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা কর্মিরা প্রতিনিয়ত বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে সহ তার ছেলে তারেক জিয়া ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দিচ্ছে তখন তো তাদের বিরুদ্ধে মামলা নিচ্ছেন না। আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কি আপনারা মানুষ মনে করেন না? আপনারা সবাই জানেন বিএনপি অনেক আগেই এই জন সভার ডাক দিয়ে তারিখ নির্ধারন করেছে। আর আওয়ামী লীগ,যুব লীগ ও ছাত্র লীগের সন্ত্রাসীরা আমাদের জন সভাকে ভয় পেয়ে আজ দুর থেকে ককটেল আর ইটপাটাকেল ছুড়ে আমাদের হত্যার চেষ্টা করছে। কিন্তু তাদের কোন উদ্দেশ্য সফল হবেনা। আমরা আন্দোলন চালিয়েই যাবো।
নাটোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাসিম উদ্দিন দুইটি বিস্ফোরিত ও দুইটি অবিস্ফোরিত ককটেল উদ্ধারের কথা স্বীকার করেছে। তবে কারা এই ককটেল বিস্ফোরণ করেছে বা কেন করেছে সে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।