নিজস্ব প্রতিবেদক:
নাটোরের গুরুদাসপুর ও সিংড়া উপজেলার সিমান্তবর্তী এলাকা সোনাপুরে রসুন ব্যবসায়ী রিপন হোসেনের বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়ে নগদ ২০ লাখ টাকা ও দশ ভরি স্বর্ণঅলংকার ছিনতাইয়ের অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেল আনুমানিক সাড়ে ৩টায় সিংড়া উপজেলার চামাড়ি ইউনিয়নের সোনাপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। খবর পাওয়া মাত্র পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ব্যবসায়ী রিপন সোনাপুর গ্রামের মৃত সাদেক হোসেনের ছেলে।
ব্যবসায়ী রিপন জানান, কোরবানীর ঈদে গরু এবং রসুন বিক্রি করেছিলেন ২০ লাখ টাকার। সেই টাকা তার শোবার ঘরের আলমারীর ড্রয়ারে রাখা ছিলো। সেখানে তার স্ত্রীর দশ ভরি গহণাও রাখা ছিলো। বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি বাড়ি থেকে নাজিরপুর বাজারে গিয়েছিলেন। বাড়িতে স্ত্রী ও শিশু সন্তান ছিলো। বিকেল সাড়ে ৩ টার সময় তার স্ত্রী তাকে মোবাইল ফোনে কল করে বলে যে ১০-১২ জন ব্যক্তি মোটরসাইকেল যোগে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের বাড়ির গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে ভাঙচুর করছে আর টাকা চাইছে। আমি দ্রুত আমার বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হই। ততক্ষণে আমার বাড়িতে থাকা নগদ টাকা,স্বর্ণঅলংকার ছিনিয়ে নিয়ে আমার মোটরসাইকেলসহ বাড়িতে থাকা বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাঙচুর করে চলে যায় ছিনতাইকারীরা। পরবর্তীতে আমি বাড়িতে আসার পর স্থানীয়রা এবং আমার স্ত্রী জানায় পাশ্ববর্তী গুরুদাসপুর উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের বৃন্দাবনপুর গ্রামের হোসেন মাস্টারের ছেলে শরিফ হোসেন, আলামিন, হোটেল ব্যবসায়ী রেজাউল করিম, নয়নসহ অজ্ঞাত ১০-১২ জন অস্ত্রের মহড়া দেখিয়ে বাড়ি থেকে সব লুট করে নিয়ে গেছে। শরিফের সাথে আমার পূর্বের কোন দ্বন্দও নেই। মুলত তারা কোনভাবে জানতে পেরেছিলো আমার বাড়িতে ২০ লাখ টাকা এবং গণনা আছে। সেই টাকা আর গহণা ছিনতাই করার জন্য তারা এই হামলা চালায়। শরিফের মোবাইল ফোনে ফোন দিয়ে এমন কার্যক্রম কেন চালিয়েছে জানতে চাইলে পুনরায় মোটরসাইকেল যোগে ১০-১২ জন হাতে অস্ত্র নিয়ে আমাকেও হত্যা চেষ্টা চালায় এবং বলে যা হওয়ার হয়েছে এগুলো নিয়ে যেন বাড়াবাড়ি না করি। ঘটনার সময় পুলিশের গাড়ি দেখে অভিযুক্তরা পালিয়ে গেছে। কিন্তু আমি এখন নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি। ছিনতাই হওয়া টাকা যেন ফেরৎ না চাইতে পারি এবং আইনের আশ্রয়ে যেতে না পারি তার কারনে আমাকে মেরে ফেলতে পারে। তাই আমি প্রশাসনের কাছে এই অপরাধীদের দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে এসে শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
অভিযুক্ত ব্যক্তিদের মুঠোফন বন্ধ এবং বাড়িতে না থাকায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, এমন কোন অভিযোগ তিনি পাননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে অপরাধীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।