নিজস্ব প্রতিবেদক:
নাটোরের নলডাঙ্গায় যাত্রী সেজে ব্যাটারি চালিত ভ্যান চালককে হত্যার দায়ে আব্দুর রশিদ নামে এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ২০ হাজার টাকা করে জরিমানার আদেশ দিয়েছেন আদালত। জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদন্ড। এ সময় আব্দুল কাউয়ুম নামে অপর একজনকে মামলা থেকে বেখসুর খালাস দেন আদালতের বিচারক। আজ দুপুরে নাটোর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোঃ শরীফ উদ্দীন এ আদেশ দেন। দন্ডপ্রাপ্ত আব্দুর রশিদ নলডাঙ্গা উপজেলার মির্জাপুর তেঘরপাড়া এলাকার সৈয়দ আলীর ছেলে।
মামলার এজাহার সুত্র মতে জানা যায়, ২০১৮ সালের ৭ মার্চ বিকেলে ভাড়ায় যাত্রী বহন করতে বাড়ি থেকে বের হয় শান্ত। রাত ১২ টা পার হলেও বাড়িতে না ফেরায় খোঁজাখুজি শুরু করে পরবিারের সদস্যরা। এ সময় স্থানিয়রা তাদের জানায় সন্ধ্যার দিকে শান্তর ভ্যানে আব্দুর রশিদকে সদর উপজেলার ছাতনী গ্রামের দিকে যেতে দেখা গেছে। পরের দিন রাতে সদর উপজেলার মাঝদিঘা গ্রামের ভতুয়া বিলের পার্শে ভ্যান গাড়িসহ রক্তাক্ত শান্তর মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরে ঘটনাটি পুলিশকে জানালে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেন। এ সময় মরদেহের পাশ থেকে কারাদন্ড প্রাপ্ত রশিদের শ্বশুরের পরিচয় পত্র পাওয়া যায়। ঘটনাটি লোকমুখে জানতে পরে শান্তর পরিবারের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি শনাক্ত করেন। এ ঘটনায় শান্তর বাবা জয়নাল ফকির বাদি হয়ে অজ্ঞাত ২/৩ জনের নামে নলডাঙ্গা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পরের দিন পুলিশ অভিযান চালিয়ে আব্দুর রশিদকে আটক করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী গ্রহন করলে তিনি শান্তকে হত্যার দায় স্বীকার করে। পরে তাকে আদালতে সোপর্দ করলে আদালতের বিচারক তাকে কারাগারে প্রেরণ করেন।
নাটোর জজ কোর্টের সরকারী কৌশুলি অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম সিরাজ বলেন, এ মামলার স্বাক্ষ্য প্রমান গ্রহন শেষে আজ বিচারক আব্দুর রশিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতিতভাবে প্রমানিত হলে বিচারক তাকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ২০ হাজার টাকা করে জরিমানার আদেশ দিয়েছেন। জরিমানার অর্থ অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদন্ডের আদেশ দেন। এই মামলায় আব্দুল কাউয়ুম নামে অপর অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কোন স্বাক্ষ্য প্রমান না পাওয়ায় তাকে মামলা থেকে খালাস দেন আদালতের বিচারক। মামলার রায়ে বাদী পক্ষ সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।