করোনা ভাইরাস মহামারি থেকে মুক্তির প্রত্যাশায় সংসদ সদস্য,পুলিশ সুপার ও স্বাস্থ্য কর্মিদের করোনা প্রতিরোধক টিকা গ্রহনের মধ্যে দিয়ে টিকাদান কর্মসুচি শুরু হয়েছে নাটোরেও। রবিবার বেলা ১১টার দিকে সদর হাসপাতালে প্রথম টিকা নেন মোহাম্মদ আলী শেখ নামে একজন স্বাস্থ্য কর্মী। এরপর নাটোরের জেলা প্রশাসক মোঃ শাহরিয়াজ,পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা, সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ মহসিন,সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম সহ জেলার সকল থানার পুলিশ সদস্যরা টিকা গ্রহন করেছেন। অপরদিকে নাটোরের লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নাটোর -১ আসনের সংসদ সদস্য শহিদুল ইসলাম বকুল এই টিকা গ্রহন করেন। প্রতিদিন সকাল ৯ টা থেকে বিকাল ২টা পর্যন্ত এই টিকা প্রদান চলবে। প্রথম দিনে নিবন্ধিত ৪১ জনকে টিকা দেওয়া হবে। এরপর ভ্যাকসিন গ্রহিতাদের এক ঘন্টা করে পর্যবেক্ষনে রাখা হবে। এছাড়াও জেলার সাতটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে টিকা দান কর্মসুচির উদ্বোধন করা হয়েছে। জেলায় এ পর্যন্ত মোট আবেদন করেছেন দুই হাজার এক’শ ৪৯জন। জেলায় এ পর্যন্ত মোট আবেদন করেছেন দুই হাজার এক’শ ৪৯জন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, নাটোরের জেলা প্রশাসক মোঃ শাহরিয়াজ, পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা,সিভিল সার্জন ডাঃ কাজী মিজানুর রহমান,সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম,পৌর মেয়র উমা চৌধুরী জলি সহ স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তাগন।
ভ্যাকসিন গ্রহনকারী স্বাস্থ্য কর্মি আনন্দ ঘোষ ও মোহম্মদ আলী শেখ জানান,ভ্যাকসিন গ্রহন করে তাদের এখন পর্যন্ত কোন ধরনের সমস্যা হয়নি। তিনি সকলকে এই ভ্যাকসিন গ্রহনের জন্য অনুরোধ করেন। টিকা প্রদানকারী নাটোর সদর হাসপাতালের সিনিয়র স্টার্ফ নার্স মুসলিমা আক্তার জানান, তারা এই টিকা দেওয়ার আগে তারা প্রশিক্ষন গ্রহন করেছেন। এ পর্যন্ত যাদের টিকা দেওয়া হয়েছে তাদের কোন সমস্যা হয়নি। তিনিও সকলকে টিকা গ্রহনের আহব্বান জানান। সিভিল সার্জন ডাঃ কাজী মিজানুর রহমান, জানান,নাটোর জেলায় ৪৮ হাজার ডোজ করোনা ভাইরাস প্রতিরোধক টিকা পাওয়া গেছে। প্রথম পর্যায়ে ২৪ হাজার ডোজ দেওয়া হবে। এক মাস পরে তাদের পূনরায় ২য় ডোজ দেওয়া হবে। এই ভ্যাকসিনের কোন পার্শ প্রতিক্রিয়া নাই। সামন্য ব্যাথা হতে পারে এটাতে ভয় পাওয়া কোন কারন নাই।