গত সোমবার নাটোর সদর উপজেলার বড়হরিশপুর ইউনিয়নের ধলাটে দরিদ্রদের ত্রাণ বিতরণের সময় বিশৃংখলা সৃষ্টির জন্য ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারন সম্পাদক শরিফুল ইসলাম কালিয়ার সাথে জেলা ছাত্রলীগ সাধারন সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম মাসুমের বাকবিতন্ডার ঘটনা ঘটে। এ সময় যুবলীগ নেতা কালিয়া মাসুমকে উদ্দেশ্য হরে গালাগালি শুরু করলে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ছাত্রলীগ নেতা মাসুম কালিয়াকে চড় থাপ্পর মারেন। পরে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শিমুল বিষয়টি মিমাংসা করে দেন। কিন্তু মিমাংসার দুই দিন পর বুধবারেই যুবলীগ নেতাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ নিয়ে এলাকায় দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। এছাড়াও শুরু হয় নানা গুজব। সবার মুখে মুখে গুঞ্জন শুরু হয় এমপির সাথে বিরোধীতা করে কোন লাভ নাই। বাবা আওয়ামীলীগ নেতা ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান হয়েও একজন ছাত্রলীগ নেতার কাছে রাজনীতিতে হেরে যেতে হল। তবে পুলিশ বলছে যুবলীগ নেতা কালিয়ার নামে থানায় একাধীক অভিযোগ রয়েছে সেকারনে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগেও তাকে গ্রেফতারে অভিযান চালানো হয়েছে কিন্তু সে পুলিশের উপস্থিতি বুঝতে পেরে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। এবার তাকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে বড়হরিশপুর বাইপাস এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত যুবলীগ নেতা শরিফুল ইসলাম কালিয়া বড়হরিশপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ নেতা ওসমান গণির ছেলে।
ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুুল ইসলাম কালিয়াকে গ্রেফতারের পর কালিয়ার বাবা বড়হরিশপুর ইউপি চেয়ারম্যান ওছমান গণি অভিযোগ করে বলেন, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম মাসুমের বিরোধ থাকায় তার ছেলেকে ক্ষমতার জোরে গ্রেফতার করানো হয়েছে। এরপর আবার মাসুমের নেতৃত্বে তার বাড়িতে হামলা চালিয়ে লুটপাট করা হয়েছে। এ সময় তার স্ত্রীকে মারধর করে আহত করা হয়েছে। তার ছেলে ত্রাণ বিতরণের অনিয়মের বিরুদ্ধে শুধু প্রতিবাদ করেছিল। সেকারনেই আজ তার এই অবস্থা। তাকে পুলিশ দিয়ে গ্রেফতার করানো হয়েছে।
তবে এই সকল অভিযোগ অস্বীকার করে রিয়াজুল ইসলাম মাসুম উল্টো অভিযোগ করে বলেন, কালিয়াকে পুলিশ আটক করার ঘটনার জন্য তাকে দায়ী করে ইউপি চেয়ারম্যান ওসমান গণির ছেলেদের হামলায় তার চাচা আব্দুল হাই ও ভাই মেহেদী আহত হয়েছেন। ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়িতে কোন হামলার ঘটনা ঘটেনি।
এ বিষয়ে জানতে নাটোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সরকারী মোবাইল ফোন নম্বরে একাধীকবার কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নাই। পরে নাটোর সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের সরকারী নম্বরে কল দেওয়া হলে তিনি কেটে। পরে বিষয়টি জানতে নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, কালিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকায় তাকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। কারো বাড়ীতে হামলার মত কোন ঘটনা ঘটেনি। কাউন্টার মামলা করার জন্য এমন কথা রটিয়েছে কালিয়ার পরিবারের সদস্যরা।