নিজস্ব প্রতিবেদক:
নাটোর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিউল আজম স্বপন ও সমর্থকদের ওপর ছাত্রলীগ নেতা কর্মিদের হামলা ও ছুড়িকাঘাতে তিনজন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিউল আজম স্বপন ও ফয়সাল আহমেদকে নাটোর সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এছাড়াও গুরুতর আহত রুবেল হোসেন রাব্বিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে।বৃহস্পতিবার রাত ১১ টার দিকে শহরের ট্রাফিক মোড় এলাকায় এই হামলার ঘটনা ঘটে। তবে ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে ঘটনাটি অস্বীকার করা হয়েছে।
জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিউল আজম স্বপন বলেন, রাতে ট্রাফিক মোড় এলাকায় চা স্টলে চা খাওয়ার পর সে স্বেচ্ছাসেবক লীগের কর্মিদের নিয়ে দলীয় বিষয়ে আলোচনা করছিলেন। এ সময় নাটোর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ফরহাদ বিন আজিজ ও সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম শাহীন এর নেতৃত্বে ২০/২৫ টি মোটর সাইকেলে করে ৫০/৬০ জন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদের উপর ধারারো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। হামলায় তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করলেও তার অনুসারী স্বেচ্ছাসেবক লীগ কর্মি রুবেল ও ফয়সালকে ছুড়ি দিয়ে কুপিয়ে জখম করে চলে যায়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য রুবেলকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ছাত্র লীগের এক নেতা বলেন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিউল আজম স্বপন নাটোর শহরের বনলতা স্কুল এন্ড কলেজের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হওয়ায় উক্ত প্রতিষ্ঠানে চাকুরী দেওয়ার কথা বলে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রচার সম্পাদক শাওন এর কাছ থেকে দুই লাখ টাকা নেয়। পরবর্তীতে উক্ত প্রতিষ্ঠানে তার চাকরি না হওয়ায় শাওন ওই টাকা ফেরত চায়। টাকা ফেরৎ দিতে কালক্ষেপণ করাকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার শাওনের সাথে শফিউল আজম স্বপন এর কথা কাটাকাটির ঘটনা ঘটে। এ সময়ে শফিউল আজম স্বপন এর অনুসারীরা শাওনকে মারধর করে হাসপাতাল মোড় এলাকায়। এ নিয়ে ছাত্রলীগ সভাপতি ও সম্পাদক গ্রুপের সমর্থক শাওন ও শফিউল আযম স্বপন সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। এই ঘটনার জেরে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিউল আজম স্বপন ও তার অনুসারীদের উপর হামলা চালানো হয়।
এ বিষয়ে নাটোর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ফরহাদ বিন আজিজ ও সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম শাহীন সাংবাদিকদের বলেন, তারা কারো ওপর কোন হামলা বা ছুড়িকাঘাত করেনি। যদি এমন কোন ঘটনা ঘটে থাকে তাহলে তা তাদের নিজের কোন্দলের অংশ।
এ বিষয়ে নাটোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সরকারী মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়ায় তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।