নাটোর প্রতিনিধি: নাটোরে খাস জমির উপরে প্রায় দশ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ৫৫৮টি সেমিপাকা গৃহ ভূমিহীন ও গৃহহীনদের নিকট হস্তান্তরের জন্যে এখন প্রস্তুত।
আগামী শনিবার জমির মালিকানা দলিলসহ গৃহের চাবিগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে সুবিধাভোগীদের হাতে তুলে দেওয়া হবে। এই লক্ষ্যে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের তালিকা প্রণয়ন, খাস জমি বন্দোবস্ত, কবুলিয়াত ও সনদ প্রদানের কার্যক্রম ইতোমধ্যে সমাপ্ত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর বারোটায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে মাত্র দুই মাস সময়ে গৃহহীন ও ভূমিহীনের জন্যে নির্মিত গৃহগুলো হস্তান্তরের প্রস্তুতি বিষয়ক এক প্রেস ব্রিফিং এ এই তথ্য জানান জেলা প্রশাসক মোঃ শাহরিয়াজ। প্রেস ব্রিফিং এ জেলা প্রশাসক বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবর্ষকে স্মরনীয় করে রাখতে বর্তমান সরকার দেশের সকল ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্যে পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে। এই পরিকল্পনার বাস্তবায়নে পর্যায়ক্রমে তাঁরা ভূমিসহ গৃহ পাচ্ছেন। বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথে গৃহহীনদের সারথি হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ‘দেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না’-এমন দৃপ্ত শপথে কাজ করে যাচ্ছে সরকার। সারাদেশে এক হাজার ১৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে গৃহহীনে ৬৫ হাজার ৭২৬টি বাড়ি নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এরমধ্যে প্রায় দশ কোটি টাকা ব্যয়ে নাটোর জেলায় ৫৫৮টি। আর মুজিববর্ষে সারাদেশে মোট এক লাখ বাড়ি নির্মাণসহ পর্যায়ক্রমে দেশের নয় লাখ ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষ ভূমিসহ গৃহ পাবেন। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের সার্বিক তত্ত্বাবধানে উপজেলা প্রশাসন দুই শতাংশ জমির উপরে দু’টো শয়নকক্ষ, রান্নাঘর, টয়লেট ও বারান্দাসহ ৫৫৮টি গৃহ এসব বাড়ি নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন করেছে। পর্যায়ক্রমে জেলার তালিকাভূক্ত চার হাজার ৯৬৭ জন ভূমিহীনকে জমিসহ গৃহ নির্মাণ করে দেওয়া হবে। নাটোরের জেলা প্রশাসক মোঃ শাহরিয়াজ বলেন, ইতোমধ্যে জেলা কৃষি ও খাস জমি ব্যবস্থাপনা কমিটি সভায় বাড়ির বরাদ্দপ্রাপ্ত ৫৫৮ ব্যক্তির অনুকূলে প্রত্যেকের দুই শতাংশ জমির মালিকানা সংক্রান্ত কবুলিয়াত নথি অনুমোদন করা হয়েছে। বসবাসকারীদের সুবিধার জন্যে স্থানীয়ভাবে পানীয়’র ব্যবস্থা করা হয়েছে।
পরবর্ত্তীতে এসব বাড়িতে বসবাসকারীদের যোগ্যতা অনুযায়ী সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচীর আওতায় নিয়ে আসা ছাড়াও সমবায় সমিতি গঠনের মাধ্যমে তাদের অর্থনৈতিক কর্মকান্ডকে বেগবান করার প্রশাসনিক পদক্ষেপ গ্রহন করা যেতে পারে ভবিষ্যতে। প্রেস ব্রিফিং এ অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ পরিচালক মোঃ গোলাম রাব্বী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ আশরাফুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রহিমা খাতুনসহ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ।