নিজস্ব প্রতিবেদক:
সাস্টেইনেবল ডেভলপমেন্ট গল হিসেবে ২০৩০ সালের মধ্যে যক্ষ্মা রোগীর সংখ্যা শতকরা ৮০ ভাগ কমিয়ে আনা হবে। এ লক্ষ্যে সকল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিনা মূল্যে যক্ষ্মা রোগীর চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এমনকি অন্য কোথাও পাঠিয়ে যদি কোন পরীক্ষার দরকার হয় সে খরচও সরকার বহন করছে। আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে স্থানীয় একটি রেষ্টুরেন্টে নাটাব জেলা শাখার আয়োজনে স্থানীয় প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের সাথে এক মত বিনময় সভায় প্রধান আলোচক সিভিল সার্জন ডাঃ রোজী আরা খাতুন এসব তথ্য দেন। তিনি আরো বলেন, করোনা’র চেয়ে যক্ষ্মা রোগে মৃত্যুর হার ৪ গুন বেশী। কিন্তু এ রোগ সম্পর্কে মানুষের মাঝে সচেতনতা কম। আর এই সচেতনতা সৃষ্টিতে একমাত্র সাংবাদিকরাই পারেন ভূমিকা রাখতে। তিনি বলেন এই রোগে ঠিকমত ঔষধ না খেলে রোগ আরো কঠিন আকার ধারণ করে। যাকে বলে এমডিআর (মাল্টি ড্রাগ (রেজিষ্ট্যান্স)। নাটোরে এ অবস্থা প্রাপ্ত রয়েছেন ১৩ জন যাদের বিশেষ তত্বাবধানে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। “বিনিয়োগ করি যক্ষ্মা নির্মূলে, জীবন বাঁচাই সবাই মিলে ” এই প্রতিপাদ্য নিয়ে নাটাব জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনামুর রহমান চিনুর সভাপতিত্বে আয়োজিত মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন নাটোর পৌরসভার মেয়র উমা চৌধুরী জলি, বিশেষ অতিথি সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান, ব্র্যাক এরিয়া সুপারভাইজার আবুল বাশার ও নাটাব কমনিকেশন কর্মকর্তা বিচিত্র চন্দ্র দাসসহ অন্যান্যরা । বক্তারা বলেন এ রোগ সম্পর্কে মানুষের মাঝে সচেতনতা কম। এ ছাড়া সমাজের ভয়ে এ রোগে আক্রান্তরা নিজেদেরকে লুকিয়ে রাখতে চায়। সাস্টেইনেবল ডেভলপমেন্ট গল লক্ষ্য অর্জনে মানুষের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি করা বিশেষ প্রয়োজন। আর সচেতনতা সৃষ্টিতে সাংবাদিকদের ভূমিকার অপরিসীম। সম্প্রতি বিশ্বব্যাপী করেনা রোগ সম্পর্কে সাংবাদিকরাই মানুষের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টিতে বেশী কাজ করেছেন বলে বক্তারা জানান।