নাটোরে জেলা পরিষদের ভিতরে নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালের একটি অংশ ভেঙ্গে ফেলেছে সন্ত্রাসীরা। আজ সোমবার দুপুর পৌনে একটার দিকে জেলা পরিষদের অফিস চলাকালীন সময়ে এই ঘটনা ঘটে। সংবাদ পেয়ে নাটোর সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ ঘটনার পর জেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ নিন্দা জ্ঞাপন করেন।
নাটোর জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার ফরহাদ আহাম্মদ জানান, নাটোর জেলা পরিষদের প্রবেশ মুখের পাশে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্য বঙ্গবন্ধুর একটি ম্যুরাল নির্মাণের সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। সিদ্ধান্ত গ্রহনের পর মন্ত্রাণালয়ের অনুমোদন সাপেক্ষে ই- টেন্ডারের মাধ্যমে ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যয়ে বঙ্গবন্ধুর একটি ম্যুরাল তৈরীর কাজ শুরু হয়। গত ১৭ মার্চ জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে সেখানে পুষ্পমাল্যও অর্পণ করা হয়েছিল। আগামি ২৬ মার্চকে সামনে রেখে ম্যুরালটির অবশিষ্ট নির্মাণ কাজ চলছিল। এ অবস্থায় সোমবার কতিপয় সন্ত্রাসীরা জেলা পরিষদের ভিতরে ঢুকে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালের ও বেদীর অংশ বিশেষ ভেঙ্গে ফেলে । ঘটনাটি জানার পর পুলিশ অবহিত করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে জেলা পরিষদে কর্মরত একজন জানান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নবনির্মিত ম্যুরালের ঠিকাদার মোহাম্মদ আলী মিঠুর সাথে অপর ঠিকাদার রিপনের পূর্ব শত্রুতার জের ধরে নাটোর জেলার তাবলীগ জামাতের সাদ পন্থীদের সূরা সদস্য শরীয়ত উল্লাহর ছেলে ঠিকাদার রিপন ও তার সহযোগি উত্তর বড়গাছা মহল্লার মজনুর ছেলে রুবেল সহ কয়েকজন সন্ত্রাসী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নবনির্মিত ম্যুরালের দুই পাশে ভেঙ্গে ফেলে। তিনি আরো বলেন তারা একসময় বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলো এরা। এখন তারা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। তারা বঙ্গবন্ধুকে কিভাবে সম্মান করবে। এরাই এখন ক্ষমতাবান। এদের কিছুই বলার নাই।
এ বিষয়ে নাটোর জেলা পরিষদের সদস্য শফিউল আজম স্বপন এই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবি জানান। সংবাদ পেয়ে নাটোর সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত সহ পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তিনি বলেন ,এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। ঘটনার সাথে জড়িত যেই হোক তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। এ বিষয়ে নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও গুরুদাসপুর-বড়াইগ্রাম আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও স্থানীয় সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুল,জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সাজেদুর রহমান খান ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন।