নাটোর প্রতিনিধি: নাটোর সদর হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় আরিফুল ইসলাম নামে ১০ বছরের এক শিশু মৃত্যুর অভিযোগ করেছে রোগীর স্বজনরা। ঘটনার পর রোগীর স্বজনরা উত্তেজিত হয়ে পড়লে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায় চিকিৎসক। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন। নিহত শিশু আরিফুল ইসলাম সদর উপজেলার চক তেবারিয়া গ্রামের খোদাবক্স প্রামানিকের ছেলে।
আজ সোমবার সকালে নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে এই ঘটনাটি ঘটে। নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (অপারেশন) আবু সিদ্দিক ও রোগীর স্বজনরা জানান, সকালে শিশু আরিফুল ইসলাম খেলা করার সময় একটি প্লাস্টিকের বাঁশি তার গলায় আটকে যায়। পরে শিশুটির পরিবারের সদস্যরা তার গলা থেকে বাঁশিটি বের করার জন্য নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ সময় হাসপাতালের জরুরী বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসক ডাঃ রাসেল আহমেদ আরিফুল ইসলামের গলায় অস্ত্র প্রচার করেন। সেখানে অস্ত্র প্রচারের সময় শিশু আরিফুল ইসলাম অতিরিক্ত রক্তক্ষরনে মারা যায়। পরে চিকিৎসক রোগীর স্বজনদের ডেকে রোগীকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যায়। এদিকে পরে রোগীর স্বজনরা দেখতে পায় জরুরী বিভাগেই শিশু আরিফুলের গলা কেটে বাঁশিটি বের করার চেষ্টা করে চিকিৎসক। পরে রোগীর স্বজনরা উত্তেজিত হয়ে পড়লে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। এ ব্যাপারে নাটোর সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডাঃ মনজুরুল হাসান বলেন হাসাপতাল কতৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।