নারায়ণগঞ্জে মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় এবার মসজিদ কমিটির সভাপতি আব্দুল গফুরকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি।
শুক্রবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। নারায়ণগঞ্জের বিশেষ পুলিশ সুপার নাছির উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় ফতুল্লা থানায় পুলিশের দায়ের করা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হবে। হতাহতের ঘটনায় অভিযোগপত্র চূড়ান্তের পথে। এতে ৩৬ জনকে অভিযুক্ত করা হবে। এ ৩৬ জনের মধ্যে তিতাসের ৮ জন, ডিপিডিসির দুইজন ও মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতিসহ ২৬ সদস্য রয়েছে।
এর মধ্যে তিতাস গ্যাসের ফতুল্লা অঞ্চলের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, উপব্যবস্থাপক মাহমুদুর রহমান, সহকারী প্রকৌশলী সহকারী এস এম হাসান শাহরিয়ার, সহকারী প্রকৌশলী মানিক মিয়া, কর্মী ইসমাইল প্রধান, সাহায্যকারী হানিফ মিয়া, সিনিয়র উন্নয়নকারী আইউব আলী ও সিনিয়র সুপারভাইজার মনিবুর রহমান চৌধুরী এবং অভিযোগপত্রে ডিপিডিসি নারায়ণগঞ্জ পূর্ব অঞ্চলের মিটার রিডার আরিফুর রহমান ও বৈদ্যুতিক মিস্ত্রি মোবারক হোসেন রয়েছেন।
তাদের মধ্যে তিতাসের আটজন কর্মকর্তা-কর্মচারী, ডিপিডিসির দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৈদ্যুতিক মিস্ত্রি মোবারক হোসেন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এছাড়া তিতাসের আটজন কর্মকর্তা-কর্মচারী জামিন পেয়েছেন।
চৌঠা সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জে মসজিদে বিস্ফোরণে ৩৭ জন দগ্ধ হয়। তাদের মধ্যে অন্তত ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এখনও হাসপাতালের আইসিইউতে আশঙ্কাজনক রয়েছেন দুই জন। বিস্ফোরণের ঘটনায় ৫ সেপ্টেম্বর ফতুল্লা থানার এসআই হুমায়ন কবির বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে ফতুল্লা থানায় মামলা করেন। পরবর্তীতে মামলাটি সিআইডিতে হস্তান্তর করা হয়।