ডেস্ক নিউজ
নারায়ণগঞ্জের পশ্চিম তল্লা এলাকায় বায়তুস সালাত জামে মসজিদের সামনে বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার ও মসজিদের এসি বিস্ফোরণে ৪০ জন মুসল্লি দগ্ধ হয়েছেন। এদের মধ্যে ৩৭ জনকে শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
শুক্রবার রাতে শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউট থেকে ঢাকা মেডিক্যাল পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) বাচ্চু মিয়া জানান, নারায়ণগঞ্জের ঘটনায় এ পর্যন্ত দগ্ধ ৩৮ জন ভর্তি হয়েছেন। তাদের সবার শরীরের মাথা থেকে পা পর্যন্ত দগ্ধ। চিকিৎসকরা চিকিৎসা শুরু করেছেন।
নারায়ণগঞ্জ ১০০ শয্যা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ডাক্তার নাজমুল হোসেন জানান, রাত ৯টা থেকে একের পর এক রোগী আসছিল। তাদের সবার নাম লিপিবদ্ধ করা সম্ভব হয়নি। যেসব রোগী এসেছে তাদের ৭০ থেকে ৭৫ ভাগ দগ্ধ হয়েছেন। তাদের দ্রুত প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরো জানান, হাসপাতালে ২০ থেকে ২৫ জন এসেছিল। তাদের কয়েকজনের শরীরে ৯৯ ভাগ দগ্ধ হয়েছে।
জানা গেছে, শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টার দিকে মসজিদের সামনের ট্রান্সফরমার বিস্ফোরণ ঘটে। মুহূর্তের মধ্যে মসজিদের এসিও বিস্ফোরণ ঘটে।
এ সময় মসজিদের ভেতরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ওই সময় মসজিদে থাকা মুসল্লিদের গায়ে আগুনের ফুলকি গিয়ে পড়লে একে একে দগ্ধ হতে থাকেন। মসজিদের ভেতর থেকে আসতে থাকে মুসল্লিদের চিৎকার। পরে আশপাশের লোকজন গিয়ে তাদের উদ্ধার করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মসজিদটিতে দেড় থেকে দুই শ মুসল্লি এশার নামাজে অংশ নেন। জামাত শেষে মুসল্লিরা যখন সুন্নত নামাজ আদায় করছিলেন তখন একটি এসি বিস্ফোরিত হয়। এতে অন্তত ৪০ জন আহত হন।
ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক আরেফিন জানান, ঘটনার পর ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে ৮-৯ জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। এর আগে স্থানীয়রা বেশিরভাগ দগ্ধ ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। দগ্ধদের অবস্থা এত খারাপ ছিল যে, তাদের শরীরে হাত দেওয়া যাচ্ছিলো না।
এদিকে দগ্ধদের মধ্যে ঢামেকে চিকিৎসাধীন মো. আজিজ (৪০), মো. নিজাম (৪০), মো. নাদিম (৪৫), হুমায়ুন কবির (৭০), মো. ইব্রাহিম (৪২), মো. জুলহাস (৩০), ইমাম হোসেন (৩০), আব্দুস সাত্তার (৩০), মো. আমজাদ (৩৮), মোয়াজ্জিন দেলোয়ার হোসেন (৪৮), ইমাম আব্দুল মালেক (৬০), কাঞ্চন হাওলাদার (৫০), মো. জুনায়েদ (২৮), ফরিদ (৫৫), শেখ ফরিদ (২১), মো. মনির (৩০), মোস্তফা কামাল (৩৫), রিফাত (১৮), মাইনুউদ্দিন (১২), মো. রাসেল (৩৪), রাশেদ (৩০), নয়ন (২৭), আবুল বাশার মোল্লা (৫১), বাহার উদ্দিন (৫৫), শামীম হাসান (৪৫), জোবায়ের (১৮), জয়নাল (৫০), মোহাম্মদ আলী মাস্টার (৫৫), সাব্বির (২১), মামুন (৩০), কুদ্দস ব্যাপারী (৭০), মো. নজরুল ইসলাম (৫৫), সিফাত (১৮), জামাল (৪০), ইমরান (৩৫), সাহেদের (৪০) নাম পাওয়া গেছে।