ডেস্ক নিউজ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে গত পৌনে ১৪ বছর ধরে সরকার পরিচালনা করে আসছে। আমরা এসজিডি বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে নারী ও কন্যাশিশুদের ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। কন্যাশিশুদের কল্যাণে আমরা অবৈতনিক শিক্ষার প্রচলন, উপবৃত্তি প্রবর্তন, বিনামূল্যে বই বিতরণ, নারী শিক্ষকদের সংখ্যা বাড়ানোসহ বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছি।’
মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) ‘জাতীয় কন্যাশিশু দিবস-২০২২’ উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে তিনি এই কথা বলেন। ‘সময়ের অঙ্গীকার, কন্যাশিশুর অধিকার’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে দেশব্যাপী জাতীয় কন্যাশিশু দিবস উদযাপন করা হচ্ছে এ বছর।
বাংলাদেশের সব কন্যাশিশুকে শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সরকার জাতীয় শিশুনীতি-২০১১ ও জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি-২০১১ প্রণয়ন করেছে। নারী ও শিশু নির্যাতন (দমন) আইন-২০০০-এ নতুন ধারা সংযোজন এবং বাল্যবিয়ে নিরোধ আইন প্রণয়ন করেছে। আমাদের গৃহীত এসব পদক্ষেপের ফলে বাল্যবিয়ে উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পেয়েছে। বিদ্যালয়ে ছাত্রী ভর্তির হার বেড়েছে। ক্রীড়াঙ্গনেও আমাদের মেয়েরা সাফল্যের স্বাক্ষর রাখছে। অতিসম্প্রতি সাফ ফুটবলে বাংলাদেশ নারী ফুটবল টিম চ্যাম্পিয়ন হয়ে পুরো জাতিকে গর্বিত করেছে।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার একটি উল্লেখযোগ্য অংশ হচ্ছে কন্যাশিশু। আগামীর সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে কন্যাশিশুদের যথাযথ শিক্ষা, অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা অপরিহার্য। আমার বিশ্বাস, কন্যাশিশুদের বিকশিত হওয়ার সুযোগ নিশ্চিত করা গেলে, তারা যোগ্য ও দক্ষ নাগরিক হয়ে উঠবে এবং সরকারের রূপকল্প বাস্তবায়নে তথা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে সক্ষম হবে।’ প্রধানমন্ত্রী জাতীয় কন্যাশিশু দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সব কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।