ডেস্ক নিউজ
রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, রাজধানী ঢাকায় বর্তমানে ৩৭টি লেভেল ক্রসিং গেট রয়েছে। বাংলাদেশ রেলওয়ে শুধুমাত্র স্টেশনগুলোতে যাত্রী সাধারণের সুবিধার জন্য ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ করে। নারায়ণগঞ্জ থেকে জয়দেবপুর পর্যন্ত লেভেল ক্রসিং গেটে আন্ডারপাস/ওভারপাস নির্মাণের জন্য একটি সমীক্ষা কার্যক্রম শেষ হয়েছে। সমীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে বর্ণিত এলাকার রেললাইনের লেভেল ক্রসিংগুলোতে আন্ডারপাস/ওভারপাস নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে সংসদ সদস্য এ কে এম রহমতুল্লার (ঢাকা-১১) প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি।
রেলমন্ত্রী বলেন, আন্ডারপাস/ওভারপাস নির্মাণ করা হলে ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণের প্রয়োজন হবে না। তবে যে সব লেভেল ক্রসিং গেটে আন্ডারপাস/ওভারপাস নির্মাণ করা হবে না, সেখানে ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণের বিষয়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা হবে ।
সংসদ সদস্য মোজাফফর হোসেনের (জামালপুর-৫) প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ রেলওয়ের উভয় অঞ্চলের বিভিন্ন স্থাপনায় রক্ষিত পরিত্যক্ত অবস্থায় জরাজীর্ণ এবং জং ধরা মালগাড়িসহ অন্যান্য স্ক্র্যাপ মালামাল স্ব স্ব বিভাগীয় প্রধানদের অ্যাডভাইস নোটসহ সেইল ডিপোতে পাঠানো হয়। পরে ওই স্ক্র্যাপ মালামালসমূহ সংশ্লিষ্ট সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রকের দফতর হতে ‘পিপিআর, ২০০৮’-এর বিধি মোতাবেক উন্মুক্ত দরপত্র (আন্তর্জাতিক/দেশীয়) আহ্বানের মাধ্যমে বিক্রি করা হয়। ওই ক্র্যাপ বিক্রিলব্ধ অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা দেয়া হয়। পর্যায়ক্রমে সব পরিত্যক্ত মালগাড়িসহ সব স্ক্র্যাপ মালামাল বিক্রি করা হবে।
তিনি বলেন, যেহেতু স্ক্র্যাপ বিক্রিলব্ধ অর্থ সরাসরি সরকারি কোষাগারে জমা দেয়া হয়, তাই ওই অর্থ ব্যয় করে নতুন বগি আনয়নের সুযোগ নেই। তবে বর্তমানে বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় বাংলাদেশ রেলওয়েতে যাত্রীবাহী কোচ এবং মালবাহী ওয়াগন ক্রয়/সংগ্রহের কাজ চলমান।
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) আর্থিক সহায়তায় ২০০টি মিটারগেজ ও ৫০টি ব্রডগেজ প্যাসেঞ্জার ক্যারেজ, টেন্ডারার’স ফিন্যান্সিংয়ের আওতায় ২০০টি মিটারগেজ প্যাসেঞ্জার ক্যারেজ, ইডিসিএফ, কোরিয়ার অর্থায়নে ১৫০টি মিটারগেজ ক্যারেজ, পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগ প্রকল্পের আওতায় ১০০টি ব্রডগেজ ক্যারেজ সংগ্রহ করা হচ্ছে বলেও জানান রেলমন্ত্রী।