নিখোঁজের একদিন পর নাটোরে বাঁশ ঝাড় থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কামরুল ইসলাম জাহিদের (২৩) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ রবিবার রাত ৯টার দিকে সদর উপজেলার আউরাইল নবীন কৃষ্ণপুর গ্রাম থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত কামরুল ইসলাম জাহিদ ঐ গ্রামের আফাজ উদ্দিনের ছেলে ও নাটোর শহরের চকরামপুর এলাকার রাজশাহী সায়েন্স এ্যান্ড টেকনোলজি বিবিএ শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী। খবর পেয়ে জেলা পুলিশের উদ্ধোর্তন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) ফরিদুল ইসলাম ও নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানান, গতকাল শনিবার রাত ৯ টার দিকে কামরুল ইসলামের মোবাইল ফোনে কে বা কাহারা কল করে। এরপর সে বাড়ী থেকে বের হয়ে যায়। পরে রাতে সে আর বাড়ীতে ফিরে আসেনি। রাতে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এদিকে পরিবারের সদস্যরা রাতে তাকে বিভিন্ন স্থানে সহ আশেপাশের নিকট আত্মীয়দের বাড়ীতে খোঁজাখুজি করেও কোন সন্ধ্যায় পায়নি। সকালে ঘটনাটি নাটোর সদর থানা পুলিশকে অবহিত করেন। এরপর আজ রাতে স্থানীয়রা নবীন কৃষ্ণপুর গ্রামের মানুষ বাঁশ ঝাড়ের জঙ্গলে একটি মরদেহ পরে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয়।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে। মরদেহটি উদ্ধারের পর নিহতের পরিবারের সদস্যরা মরদেহটি সনাক্ত করে যে এই যুবক তাদের সন্তান কামরুল ইসলাম জাহিদ। প্রাথমিক সুরৎহাল প্রতিবেদনে নিহতের শরীরে আঘাতের চিহ্ণ পাওয়া গেছে এবং তার একটি চোখ তুলে নেওয়া হয়েছে। মরদেহটি উদ্ধারের পর ময়না তদন্তেদর জন্য নাটোর সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন নিহত যুবকের মোবাইল ফোনের কল লিস্ট চেক করা হবে এবং কাদের সাথে কথা বলে সে বাড়ী থেকে বের হয়েছে সেই বিষয়ে খোঁজ করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে এটা একটা হত্যাকান্ড। ঘটনার সংবাদ পেয়ে জেলা পুলিশের উদ্ধোর্তন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ঘটনার তদন্তে ইতিমধ্যে পুলিশী অভিযান শুরু হয়েছে। ময়না তদন্ত প্রতিবেদন পেলে এর সঠিক কারন জানা যাবে।