ডেস্ক নিউজ
ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচন ঘিরে সন্ত্রাস-নাশকতার ছক কষছে বিএনপি-জামায়াত। অস্ত্রসহ বিভিন্ন জেলা থেকে আনা হয়েছে বিপুল সংখ্যাক ক্যাডার বাহিনী। পুলিশের বিশেষ অভিযানে অস্ত্রসহ আটক করা হয়েছে ৩ জনকে।
নির্বাচনের দিন যত কাছে আসছে ততই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে পরিস্থিতি। নির্বাচন বিতর্কিত ও নির্বাচনে সহিংসতা করতে বিএনপি-জামাতের বিপুল সংখ্যাক সশত্র ক্যাডার বাহিনী অবস্থান করছে ঢাকায়। ভাড়া করে এসব ক্যাডারকে বিভিন্ন জেলা থেকে আনা হয়েছে বলছে গোয়েন্দা সূত্র।
আজ সকালে উত্তরা-১১ নম্বর সেক্টর ১৫ নম্বর সড়কের ৭২ নম্বর বাড়ির ৬ তলার একটি ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে তিনটি বিদেশি পিস্তল ও একটি ওয়াকিটকিসহ ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এ অভিযান পরিচালনা করে পুলিশ।আটককৃতরা হলেন বগুড়া জেলা ছাত্রদলের সহ সভাপতি আবু জাফর, যুগ্ম সম্পাদক সোহেল রানা ও সাংগঠনিক সম্পাদক রবিউল ইসলাম ওরফে আওয়াল। আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে এসেছে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য।
আটককৃত ছাত্রদল নেতা আবু জাফরের তথ্য মতে, ১২ লাখ টাকার চুক্তিতে তারা ঢাকা এসেছে নির্বাচনে সহিংসতা করা জন্যে। বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি মো. সাইফুল ইসলামের মাধ্যমে তাদের এই চুক্তি হয়েছে। ঢাকায় আসার পর থেকে তাদের সার্বিক দিক নির্দেশনা দিচ্ছে তাবিথ আউয়ালের ব্যক্তিগত সহকারী মাহমুদুল হাসান।এরই মধ্যে হত্যা মামলার আসামি, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িতসহ বিভিন্ন মামলার দাগি শতাধিক আসামির রাজধানীতে অবস্থান শনাক্ত করেছে গোয়েন্দা পুলিশ । নাশকতা চালানোর পরিকল্পনা হিসেবে বিভিন্ন ধরনের আগ্নেয়াস্ত্রও রয়েছে তাদের সঙ্গে।
ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার শফিকুল ইসলাম জানান, সার্বিক পরিস্থিতি মোকাবেলায় সতর্ক অবস্থানে রায়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। রাজধানীতে বৃহস্পতিবার মধ্য রাত থেকে বিশেষ অভিযানে নামছে তারা। যা ১ ফেব্রুয়ারি ভোটের দিন পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।