আগামী মাস থেকেই আর্জেন্টিনার হয়ে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে খেলতে পারবেন লিওনেল মেসি, বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন দেশটির ফুটবল ফেডারেশন প্রধান ক্লদিও তাপিয়ে।
বুয়েনস এইরেসে ৮ অক্টোবর ইকুয়েডরের মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা। এরপর ১৩ অক্টোবর লা পাজে তাদের প্রতিপক্ষ বলিভিয়া। দক্ষিণ আমেরিকা ফুটবল কনফেডারেশন (কনমেবল) মেসিকে নিষিদ্ধ করার পর জানিয়েছিল, একটি প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে বসে থাকতে হবে তাঁকে। নিষিদ্ধ হওয়ার পর গত বছর ব্রাজিল ও উরুগুয়ের বিপক্ষে খেলেছেন মেসি। তবে সেগুলো ছিল প্রীতি ম্যাচ। তবে মেসির ওই শাস্তির বিপক্ষে আইনি সময়সীমা পার হয়ে যাওয়ার আপিল করেছিলেন এএফএ সভাপতি। এরপরই সুখবরটা জানানো হয় আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (এএফএ) টুইটে।
এএফএ-র টুইটে বলা হয়, কনমেবল সভাপতি আলেহান্দ্রো ডমিনগুয়েজ ‘নিশ্চিত করেছেন শাস্তির আইনি সময়সীমা পার হয়ে যাওয়ায় মেসি খেলতে পারবেন।’ শাস্তি বহাল থাকলে ইকুয়েডরের বিপক্ষে ম্যাচটি খেলতে পারতেন না বার্সেলোনা তারকা। গত বছর কোপা আমেরিকায় চিলির বিপক্ষে তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে মেসির লাল কার্ড দেখা নিয়ে বিতর্ক আছে। ম্যাচের তখন ৩৭ মিনিট। চিলির বিপদ সীমার মধ্যে বল দখলের লড়াইয়ে গ্যারি মেডেলকে পেছন থেকে ধাক্কা দিয়েছিলেন লিওনেল মেসি। সেটি ইচ্ছাকৃত না অনিচ্ছাকৃত, তখন পরিষ্কার বোঝা যায়নি। কিন্তু এর প্রতিক্রিয়ায় চিলি অধিনায়ক শরীর দিয়ে গুঁতোতে শুরু করেন মেসিকে। হঠাৎ এ আক্রমণের পাল্টা জবাব দেননি মেসি। দুই হাত তুলে চিলি অধিনায়কের প্রতিটি গুঁতোয় পিছিয়েছেন দু-এক পা করে। এর মধ্যে রেফারি মারিও ডিয়াজ দে ভিভার ছুটে এসে সরাসরি লাল কার্ড দেখান দুজনকেই! অথচ ভিডিও রিপ্লেতে দেখা যায়, লাল কার্ড দেখার মতো কোনো অপরাধ করেননি মেসি।
রাগে ফুঁসতে থাকা মেসি ম্যাচ শেষে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিলেন কোপার আয়োজক দেশ ব্রাজিলের বিপক্ষে, ‘কোনো সন্দেহ নেই, সবকিছু ব্রাজিলের পক্ষে করা হয়েছে। আশা করি ফাইনালে ভিএআর ও রেফারি কোনো প্রভাব রাখতে পারবে না, তাতে পেরু অন্তত প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবে। কিন্তু ব্যাপারটা কঠিন। আমি এই দুর্নীতির অংশ হতে চাই না। আমরা আরও এগোতে পারতাম। কিন্তু ফাইনালে উঠতে দেওয়া হয়নি। দুর্নীতি, পক্ষপাত—এসবের জন্য লোকে আর ফুটবল উপভোগ করতে পারছে না।’
গত বছর ব্রাজিল ও উরুগুয়ের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে গোল করেছিলেন মেসি। ব্রাজিলের বিপক্ষে ১-০ গোলে জিতেছিল আর্জেন্টিনা। উরুগুয়ের বিপক্ষে ২-২ গোলে ড্র হয় ম্যাচটি। গত কয়েক দিন ভীষণ ব্যস্ত সময় কেটেছে মেসির। বার্সেলোনার সঙ্গে ঝামেলা মিটিয়ে ক্লাবটিতে খেলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।